ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) ২ মৌসুম পর ফিরে আশানুরূপভাবে রাঙাতে পারেননি সাকিব আল হাসান। ব্যাটের পর বল হাতেও বিবর্ণ দিন পার করেছেন তিনি। তার দল অ্যান্টিগা ও বারবুডা ফ্যালকনসের টুর্নামেন্টে শুরুটাও হয়েছে সেন্ট কিটস ও নেভিস প্যাট্রিয়টসের কাছে বড় হার দিয়ে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সেন্ট কিটসে সিপিএলের ত্রয়োদশ আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে অ্যান্টিগা ও বারবুডা ফ্যালকনস। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭.১ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে যায় সাকিবের অ্যান্টিগা। জেসন হোল্ডার–রাইলি রুশো–এভিন লুইসদের সেন্ট কিটস ৫ ওভার বাকি থাকতেই লক্ষ্য টপকে যায়।
ওয়ার্নার পার্কে এদিন ছয় নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমেছিলেন সাকিব। কিন্তু তেমন কিছুই করতে পারেননি, ১৬ বলের ইনিংসে খেলেন স্রেফ ১১ রান। তার কচ্ছপ গতির ইনিংসে নেই কোনো বাউন্ডারি। পরে ১ ওভার বল করে দেন ৬ রান; পাননি কোনো উইকেট।
এদিন অ্যান্টিগার ওপেনার অ্যান্ড্রু জুয়েল রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন। তাকে শিকার করেন কাইল মেয়ার্স। আরেক ওপেনার রাহকিম কর্নওয়াল ৬ বলে ৩ রান করে ফজলহক ফারুকির বলে আউট হন। তারপর বেভন জ্যাকবসকে শিকার করেন নাসিম শাহ। ৩৯ রানে তিন উইকেট হারায় অ্যান্টিগা।
ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ছক্কা মেরে আশা জাগানোর পর ১০ বলে ১২ রান করে বোল্ড হয়ে যান ওয়াকার সামালখিলের বলে। তারপর মাঠে নামেন সাকিব আল হাসান। অপরপ্রান্তে ছিলেন অ্যান্টিগার পক্ষে একাই লড়াই চালিয়ে যাওয়া কারিমা গোর। কারিমার সাথে সাকিবের ২২ বলে ৩০ রানের জুটি হয়। তারপর আউট হয়ে যান কারিমা।
দলের বাকি সবার বিপরীত ছিলেন কারিমা। ৩০ বলে অর্ধশতক হাঁকান তিনি। ফারুকির বলে কট বিহাইন্ড হওয়ার আগে করেন ৩৪ বলে ৬১ রান। প্রায় ১৮০ রানের ইনিংসে আটটি চার ও দুইটি ছক্কা হাঁকান তিনি।
তারপর সাকিবকে শিকার করেন ওয়াকার। ১৬ বলে মাত্র ১১ রানের শ্লথ ইনিংস খেলেন সাকিব। স্ট্রাইকরেট ছিল ৬৮.৭৫। তার ব্যাট থেকে কোনো বাউন্ডারি আসেনি। অধিনায়ক ইমাদ ওয়াসিম ১৩ বলে ১১ রান ওয়াকারের বলেই আউট হন। তারপর ওডেন স্মিথকে শিকার করেন ওয়াকার।
জেসন হোল্ডার ও নাসিম শাহ শেষ দুইটি উইকেট শিকার করে অ্যান্টিগাকে অলআউট করে দেন। অ্যান্টিগার মিডল অর্ডার ধসিয়ে দেওয়া ওয়াকার চার ওভারে ২২ রান খরচ করে শিকার করেন এক হালি উইকেট। ফারুকি ও নাসিম নেন দুইটি করে উইকেট। ১৭.১ ওভারে ১২১ রানেই অলআউট হয় অ্যান্টিগা।
এই রান তাড়া করতে নেমে এভিন লুইস ঝড়ো শুরু করেন। তার ক্যামিও থামে ১৫ রানে। ১৩ বলে ২৫ রান করে ওবেদ ম্যাককয়ের বলে সাকিবের তালুবন্দী হন লুইস। আরেক ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার খেলেন ধীরগতির ইনিংস। ২৬ বলে ১৯ রান করেন তিনি।
৮ বলে ১৫ রান করা কাইল মেয়ার্সকে শিকার করেন কর্নওয়াল। রাইলি রুশো রানের খাতা খুলতেই পারেননি, কর্নওয়ালের বলে বোল্ড হন। তবে অ্যালিক অ্যাথানাজে ও জেসন হোল্ডারের জুটিতে ম্যাচ জিতে যায়। ৩১ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়েন তারা। ৩০ বল হাতে রেখেই সেন্ট কিটস পায় ছয় উইকেটের দাপুটে জয়। অ্যালিক ২৮ বলে ৩৭ রান করেন ও হোল্ডার ১৪ বলে ১৮ রান করেন।
সাকিব এক ওভার বোলিং করে ৬ রান দেন তিনি। কর্নওয়াল তিন ওভারে ১৯ রান দিয়ে নেন দুইটি উইকেট। এএম গাজানফার ও ওবেদ ম্যাককয় একটি করে উইকেট নেন। সেন্ট কিটসের পক্ষে চার উইকেট নেওয়া ওয়াকার হয়েছেন ম্যাচসেরা খেলোয়াড়।
এমআর-২