গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় এক ১১ বছর বয়সী শিশুকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের ভিডিও করে শিশুটিকে ব্ল্যাকমেইল করে পরবর্তীতে বারবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে অভিযুক্ত সাব্বির আহমেদ (২০) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তার বাড়ি দক্ষিণ চর হাজিপুর, হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) এলাকায়। তার দুলাভাইয়ের বাসায় র্যাব-১ (গাজীপুর) ও র্যাব-১৪ এর যৌথ অভিযানে তাকে আটক করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিশুটি স্থানীয় একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। স্কুল থেকে ফেরার পথে বৃষ্টির কারণে একটি দোকানে আশ্রয় নেয় সে। সেখানে অভিযুক্তরা কোল্ড ড্রিংকে অজ্ঞান করার ওষুধ মিশিয়ে তাকে পান করায়। অজ্ঞান অবস্থায় তাকে পাশের জঙ্গলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পুরো ঘটনাটি ভিডিওতে ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে এই ভিডিও ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে শিশুটিকে একাধিকবার গণধর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে। ভয়ে শিশুটি প্রথমে পরিবারের কাউকে কিছু জানায়নি। কিন্তু অভিযুক্তরা ভিডিওটি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে সম্প্রতি ভুক্তভোগীর ভাইয়ের নজরে আসে। পরে পুরো ঘটনা পরিবারকে খুলে বলে শিশুটি।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের মড়লপাড়া গ্রামে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিশুর পিতা গত শনিবার (৯ আগস্ট) বিকালে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- কাওরাইদ ইউনিয়নের মড়লপাড়া গ্রামের শামসুল হুদার ছেলে শফিকুল ইসলাম হায়দার, মৃত সামসুদ্দিন মড়লের ছেলে জসীম উদ্দীন (৩০), মো. রুবেল মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া (২৫) ও ইসমাইল হোসেনের ছেলে সাব্বির আহমেদ (২০)। এদের মধ্যে বাবুল মিয়া শিশুটির চাচাতো ভাই ও শফিকুল ইসলাম হায়দার তার কাকা।
এ বিষয়ে র্যাব-১ এর একজন কর্মকর্তা জানান, 'আমরা ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছি, বাকিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।'
এইচএ