এইমাত্র
  • নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে নিরাপত্তা জোরদার
  • যমুনায় জেগে উঠেছে অসংখ্য ডুবোচর, নৌ চলাচল ব্যাহত
  • সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে এভারকেয়ার ছাড়লেন হাদি
  • আগামীকাল সাময়িক বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল
  • হাদি গুলিবিদ্ধের ঘটনায় গুজবে সয়লাব ফেসবুক : ফ্যাক্টওয়াচ
  • কওমী মাদ্রাসার বোর্ড পরীক্ষার সময়সূচি এগিয়ে আনা হয়েছে
  • কলম্বিয়ায় স্কুলবাস খাদে পড়ে নিহত ১৭
  • হাদির ওপর হামলায় নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না: সিইসি
  • হাদিকে গুলি করা অভিযুক্ত মাসুদের ভারতে গিয়ে সেলফি
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় আরও ২ জন আটক
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    আন্তর্জাতিক

    পাকিস্তানে বৃষ্টি ও বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা ৬৫০ ছাড়াল

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম

    পাকিস্তানে বৃষ্টি ও বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা ৬৫০ ছাড়াল

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম
    সংগৃহীত ছবি

    পাকিস্তানে গত জুন মাস থেকে শুরু হওয়া প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা ৬৫০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু খাইবার পাখতুনখোয়াতেই (কেপি) ৩২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

    সোমবার (১৮ আগস্ট) প্রাদেশিক সরকার ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর জন্য ৮০০ কোটি রুপি ত্রাণ তহবিল বরাদ্দ করেছে। এছাড়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বুনের জেলার জন্য আলাদা করে আরও ৫০০ কোটি রুপি ঘোষণা করা হয়েছে। কেপি প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (পিডিএমএ) প্রতিবেদনে বলা হয়, বুনের জেলায় এখন পর্যন্ত ২১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১২০ জন আহত হয়েছেন।

    মৃতের সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে শাংলা জেলা। সেখানে ৩৬ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ৯৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে— যার মধ্যে ৫৫টি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু বিদ্যালয়ও।

    এর বাইরে, মানসেহরায় ২৪ জন, বাজওরে ২১ জন এবং সোয়াতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোয়াত জেলায় অবকাঠামোগত ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে— অন্তত ২১৯টি বাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে এবং ১৬৩টি গবাদিপশু মারা গেছে।

    পাকিস্তান জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) চেয়ারম্যান হাইদার জানান, আগস্টের শেষ পর্যন্ত মৌসুমি বৃষ্টির ঝুঁকি অব্যাহত থাকবে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আরও অন্তত দু-তিন দফা ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চলছে। তাদের খুঁজে না পাওয়া গেলে মৃতের সরকারি সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

    বর্তমানে বন্যাকবলিত এলাকায় ৪২৫টিরও বেশি ত্রাণ শিবির চালু আছে। এসব ক্যাম্পে খাদ্যসামগ্রী, চিকিৎসা ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোকে স্কুলসহ সরকারি ভবনে রাখা হচ্ছে।

    এনডিএমএ চেয়ারম্যান জানান, সেনাবাহিনীর বিশেষ ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে এবং গুরুতর আহতদের হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অ্যাভিয়েশন ঘাঁটিগুলোও জরুরি পরিস্থিতিতে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

    এমআর-২

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…