প্রায় এক দশকের সম্পর্কের পর সম্প্রতি প্রেমিকা জর্জিনা রদ্রিগেজকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। প্রস্তাবের সময় উপহার হিসেবে রোনালদো দিয়েছেন একটি হীরার আংটি। আর সেটি নিয়েই শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, এই ধরনের আংটি বাগদানে ব্যবহার হয় না।
জর্জিনার আংটিতে থাকা হীরকখণ্ডের আকার নিয়ে নানা অনুমান করা হচ্ছে। কেউ বলছেন, এটি ২২ থেকে ৩০ ক্যারেট পর্যন্ত হতে পারে যার মূল্য ২০ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৪ কোটি টাকা) থেকে শুরু হয়ে ৪০ লাখ ডলার (৪৮ কোটি টাকা) পর্যন্ত হতে পারে।
যদিও এই আংটি দামি তবে গয়না বিশেষজ্ঞরা এটিকে বিশ্লেষণ করার সময় বলছেন, আংটির আকৃতি অনেক বড় এবং ভারী, যা হাতে পরার জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়।
স্পেনের গয়না বিশেষজ্ঞ হুয়ানা গার্সিয়া সানচেজ ইতালির ক্রীড়া সংবাদপত্র ‘কোরিরি ডেলো স্পোর্ট’-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, রোনালদোর উপহার আসলে একটি ককটেল রিং যা নেকলেসের মতো মনে হয় এবং হাতে পরতে অস্বস্তি হতে পারে। সানচেজ আরও বলেন, এই আংটিতে ত্রুটি রয়েছে, যদিও সেটিংটি ঠিক আছে।
এরপর আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে সানচেজ বলেন, ‘বিশেষ উপলক্ষ কিংবা উদযাপনের জন্য বড় ও উজ্জ্বল পাথর রয়েছে এই আংটিতে, যা প্রতিদিন পরার জন্য উপযুক্ত নয়। বাগদানের আংটি হলুদ কিংবা সাদা সোনার (হোয়াইট গোল্ড) হওয়া উচিত। একইসঙ্গে তা আরামদায়ক ও আঙুলের নড়াচড়ায় সহায়ক হতে হবে, কারণ ভালোবাসা ও বিশ্বস্ততার প্রতীক হিসেবে সেটি প্রতিদিন পরা–ই প্রত্যাশিত। ওই আংটি আসলে “ককটেল রিং”, যেটা বিশেষ কোনো উপলক্ষে মনোযোগ আকর্ষণের জন্য বানানো হয়েছে। ভালোবাসার অঙ্গীকার হিসেবে এটি প্রতিদিন পরার আংটি নয়।’
তবে এখানেও রয়েছে এক খটকা। সাধারণত ককটেল আংটি পরা হয় ডান হাতে। কিন্তু জর্জিনাকে দেখা গেছে, সেটি বাঁ হাতে পরতে, যেটি মূলত বিবাহ বা বাগদানের চিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ফলে এটি কেবল একটি ‘ককটেল রিং’ না হয়ে বাগদানের আংটিও হতে পারে—এমনটাই ধারণা করছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত, গত ১১ আগস্ট নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এই বাগদানের বিষয়টি শেয়ার করেন জর্জিনা। ছবিতে দেখা যায়, বাগদানের আংটি পরা হাতে রোনালদোর হাত ধরেছেন তিনি। পোস্টে জর্জিনা লিখেছেন, ‘আমি রাজি। এই জীবন কেন, পরের জন্মেও তোমাকে চাই।’
আরডি