আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ফরিদপুর-৪ (সদরপুর–চরভদ্রাসন) আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা স্বেচ্ছায় নির্বাচনী ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার অপসারণ শুরু করেছেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা ও আচরণবিধি অনুসরণ করে এই উদ্যোগকে এলাকাবাসী ইতিবাচকভাবে দেখছেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম খান বাবুল সদরপুর উপজেলা সদরসহ আশপাশের হাট-বাজার ও সড়কে টাঙানো ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার ও তোরণে লাগানো প্রচারণা সামগ্রী নিজ হাতে খুলে ফেলেন। এ সময় তার সঙ্গে নেতাকর্মীরাও অংশ নেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা ও আইন মেনে আমরা প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাই। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।” তিনি জানান, তার এই উদ্যোগের পর দলের নেতাকর্মীরাও নিজ এলাকায় প্রচার সামগ্রী অপসারণ করবেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মুফতি রায়হান জামিল বলেন, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি নিজ হাতে সব ব্যানার ও পোস্টার খুলে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছি। পরিবেশ সুরক্ষা ও ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপনই আমার উদ্দেশ্য।” তিনি আরও বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর নতুন করে আইন মেনে প্রচার শুরু করবেন।
এদিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মাওলানা সরোয়ার হোসেনও তার নেতাকর্মীদের নিয়ে ব্যানার–ফেস্টুন অপসারণ করেছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। সদরপুর উপজেলা জামায়াতের আমির দেলোয়ার হাওলাদার জানান, শনিবার জোহরের নামাজের আগেই উপজেলার সব এলাকা থেকে পোস্টার ও ব্যানার সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মুফতি মিজানুর রহমান মোল্লা শুক্রবার রাত থেকেই তার কর্মীদের নিয়ে প্রচার সামগ্রী অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এম হোসাইনের প্রতিনিধি শাহ জামাল জানান, তারাও নির্ধারিত সময়ের আগেই ব্যানার ও ফেস্টুন খুলে ফেলেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রার্থীদের স্বেচ্ছায় ব্যানার ও পোস্টার অপসারণে এলাকায় একটি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছেছে। এতে একদিকে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন হচ্ছে, অন্যদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার একটি ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে।
ইখা