টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক গার্মেন্টস শ্রমিকের স্ত্রীকে (২৭) পরকীয়া ‘অপবাদ’ দিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার সময় উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এঘটনায় রাতেই দুইজনকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার সময় মির্জাপুর প্রেসক্লাবে এসে ওই গৃহবধূ অভিযোগ করে বলেন, ৫ মাস বয়সী শিশু সন্তানকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এসময় গোড়াই ইউনিয়নের বটটেকী গ্রামের ছমির উদ্দিনের ছেলে প্রভাবশালী ময়লা ব্যবসায়ী আজাহার মিয়া (৪২), একই গ্রামের লেবু মিয়ার ছেলে রাজিব মিয়া (৩৫) তার ঘরের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে পরপুরুষ রয়েছে এমন অভিযোগ তুলে তারা ওই গৃহবধুর ঘরে প্রবেশ করেন। আশেপাশের লোকজন জড়ো হলে তারা তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেন। এরপর শিশুকে জিম্মি ও শিল্প কারখানায় কর্মরত স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে শারিরীক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে শ্লীলতাহানি ঘটান তারা। কিন্তু ওই নারী জন্মনিরোধক আবরণ আনার কথা বলে কৌশলে ঘর থেকে বের হয়ে ধর্ষণের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করে গোড়াই শিল্প কারখানায় কর্মরত স্বামীর কাছে যান। পরে রাতে মির্জাপুর থানায় দুইজনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন অভিযুক্তরা। তাদের দুজনের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করেও তাদের কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। এলাকার একাধিক মানুষ বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা এভাবেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে। সন্ধ্যার পর মদপান করে এলাকায় রংবাজি করাই তাদের কাজ।
বাসার মালিক আহম্মদ আলী বলেন, আমি বাসা করার শুরু থেকেই অভিযুক্তরা নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন করতো। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমার বাসার ভাড়াটিয়ার সাথে যা হয়েছে তা শতভাগ সত্য।
মির্জাপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ্ আল মামুন জানান, ভুক্তভোগী ওই নারীর একটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মামলা নেয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এনআই