আগামী রোববার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা৷ হঠাৎ বদলি আদেশ ও আন্দোলনের মধ্যেও শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ক্ষতির কথা ভেবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মো. মাহবুবর রহমান দেশের একটি অনলাইন পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আমরা আজ সকালেই ডিজি ও সচিবের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করে জানিয়েছিলাম যে, আন্দোলন চলমান থাকলেও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা যেন আওতামুক্ত রাখতে চাই৷ পরে বিকেলে জানতে পারি, আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বদলি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যদি সকালে বৈঠক হয় তবে তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষার আয়োজন করব। কিন্তু বৈঠক না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। এরপরও আমরা রোববার থেকে পরীক্ষা নেব। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আমাদেরই সন্তান। তাদের ক্ষতি আমরা চাই না। দুই দিন পিছিয়ে গেছে, কিন্তু এতে শিক্ষাজীবন অচল হবে না।
অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়া বিষয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকরা অভিভাবকদের চাপে পড়েছেন। অনেকে উত্তেজিত হয়েছেন। কিন্তু বছরের পড়াশোনা শেষ। পরীক্ষা দুই দিন পর হলে বড় সমস্যা হতো না।
তিনি আরও জানান, আন্দোলনের অন্যান্য কর্মসূচি চলমান থাকবে, তবে পরীক্ষাকে আওতামুক্ত রাখা হবে।
মাহবুবর রহমান বলেন, রোববার থেকে আমরা পরীক্ষা নেব। কর্মবিরতি চলবে, তবে অন্যান্য কর্মসূচি পরীক্ষার পর অব্যাহত থাকবে। বদলি চাকরিরই অংশ। তাই সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের থামানো যাবে না।
এফএস