এইমাত্র
  • জুবাইদা রহমানকে নিতে বিমানবন্দরে পৌঁছেছে গাড়িবহর
  • পিছিয়ে যাচ্ছে খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা
  • ববি ছাত্রদলের প্রথম কাউন্সিল: তিন পদে লড়বেন ১০ প্রার্থী
  • এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি, বিলম্ব হচ্ছে খালেদা জিয়ার লন্ডন গমন
  • ঢাকার পথে ডা. জুবাইদা রহমান
  • হঠাৎ বদলির আদেশ, রোববার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত
  • দেশের উদ্দেশে লন্ডন বিমানবন্দরে জুবাইদা রহমান
  • আন্দোলনরত প্রাথমিকের ৪২ শিক্ষক নেতাকে অন্য জেলায় বদলি
  • এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিলম্বিত, আগামীকাল দেশে আসছেন জুবাইদা রহমান
  • অল দ্য প্রেসিডেন্টস মেন: পুতিনকে ঘিরে থাকে যে ‘ছায়াবাহিনী’
  • আজ শুক্রবার, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    আন্তর্জাতিক

    অল দ্য প্রেসিডেন্টস মেন: পুতিনকে ঘিরে থাকে যে ‘ছায়াবাহিনী’

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৮ পিএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৮ পিএম

    অল দ্য প্রেসিডেন্টস মেন: পুতিনকে ঘিরে থাকে যে ‘ছায়াবাহিনী’

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৮ পিএম

    রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিদেশযাত্রা ঘিরে গোপনীয় ও নিখুঁত প্রস্তুতির বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে। দু’দিনের সফরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতে পৌঁছাবেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সাধারণত নিরাপত্তার ব্যবস্থা আয়োজক দেশ হিসেবে ভারতের করার কথা। কিন্তু এবারে ভারত সফরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তায় নজিরবিহীন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ক্রেমলিন। পুতিনের প্রত্যেক সফর চরম সতর্কতা, কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং জনসমক্ষে খুব কম দেখা যায় এমন এক নিরাপত্তা জালের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

    রাশিয়ার সবচেয়ে গোপন ও দুর্ধর্ষ নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর একটি ফেডারেল প্রোটেকটিভ সার্ভিস (এফএসও)। প্রেসিডেন্টের বিদেশ সফরের সময় অদৃশ্য এক নিরাপত্তা জাল তৈরির দায়িত্বে থাকে দেশটির এই নিরাপত্তা সংস্থা। পরিবহন থেকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সব কিছুই থাকে তাদের নিয়ন্ত্রণে।

    অদৃশ্য নিরাপত্তা জাল

    মডার্ন ডট এজেড বলছে, পুতিনের নিরাপত্তায় সাধারণত খালি চোখে যে দেহরক্ষীদের দেখা যায়, তারা আসলে এক বিশাল নিরাপত্তা ব্যবস্থার সামান্য অংশ মাত্র। কেজিবি-ধাঁচের প্রটোকলের ভিত্তিতে গড়া এফএসও এই জটিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিচালনা করে।

    প্রেসিডেন্ট পুতিনের ব্যক্তিগত দেহরক্ষীরা নিয়োগ পান দেশটির এলিট প্রেসিডেনসিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস (এসবিপি) থেকে। প্রার্থীদের বাছাই করা হয় অত্যন্ত কঠোর এক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এই বাহিনীতে নিয়োগ পাওয়ার জন্য বয়স ৩৫’এর নিচে, উচ্চতা ১৮০ সেন্টিমিটারের বেশি, শারীরিকভাবে সবল, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত এবং মানসিকভাবে দৃঢ় হতে হয়। দেশটির এলিট বাহিনীতে সদস্যদের নিয়োগের আগে বিদেশি ভাষাজ্ঞান, ব্যাপকভাবে পারিবারিক তথ্য যাচাই-বাছাই ও বাধ্যতামূলক সততা পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়।

    আলাস্কায় নিজস্ব টয়লেট নিয়ে যান প্রেসিডেন্ট পুতিন

    ২০২৩ সালে রাশিয়া থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাবেক দেহরক্ষী গ্লেব কারাকুলভ বলেন, পুতিন এক ধরনের আবদ্ধ জীবনযাপন করেন। মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না এবং কখনও কখনও বিশেষ ট্রেনে ভ্রমণ করেন। এই নেটওয়ার্কে থাকে স্নাইপার, ড্রোন অপারেটর, ইলেকট্রনিক-ইন্টেলিজেন্স বিশেষজ্ঞ ও যোগাযোগ ইউনিটও।

    খাবার, ল্যাবরেটরি, স্বাস্থ্যবিধি

    প্রেসিডেন্ট পুতিনের খাবার প্রস্তুতকারক কর্মীদের জন্য বেশ কিছু কঠোর নিয়ম মেনে চলতে হয়। যেমন, গ্লাভস পরা, দিনে একাধিকবার পোশাক পরিবর্তন এবং হাত পরীক্ষা করা; যেন কোনও ধরনের কাটাছেঁড়া না থাকে। রান্নার ঘরে ঢোকার আগে রান্নার প্রত্যেকটি রসদও কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হয়। তবুও প্রস্তুত করা খাবার প্রথমে খেয়ে দেখেন দেহরক্ষীরা। কোনও খাবার বিষাক্ত হলে যাতে প্রেসিডেন্ট আক্রান্ত না হন, সে জন্য দেহরক্ষীরা আগে খেয়ে পরীক্ষা করেন বলে মডার্ন ডট এজেডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

    পুতিনের জীবনযাত্রা নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র আওয়ার সার্ভিসে পুতিনের এক পাচক বলেছেন, প্রেসিডেন্ট যেখানে থাকেন, আমরাও সেখানে থাকি। সেটা ব্যবসায়িক সফর হোক, ছুটি কিংবা ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান; সব জায়গাতেই আমরা সবসময় তার সঙ্গে থাকি। বড় কোনও আয়োজন থাকলেও আমরাই সেটা তদারকি করি।

    এই তথ্যচিত্রে পুতিনের খাদ্যাভ্যাসও তুলে ধরা হয়। তিনি ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলেন এবং রাতে মাংস কম খান। তার পছন্দ বেগুনের ভাজি, ওলিভার সালাদ এবং কলিজা। সরকারি অনুষ্ঠানে তিনি সাধারণত আদা চা পান এবং খুব কমই অ্যালকোহল গ্রহণ করেন।

    • যানবাহন ও বিমান

    বিদেশ সফরে পুতিন যে বুলেটপ্রুফ অরাস সেনাট লিমুজিনে ভ্রমণ করেন, সেটি গ্রেনেড-প্রতিরোধী, জরুরি অক্সিজেন ব্যবস্থা, অগ্নিনির্বাপণ প্রযুক্তি ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাও রয়েছে।

    তার ইলিউশিন আইএল-৯৬-৩০০পিইউ বিমান, ‘‘ফ্লাইং প্লুটন’’ নামে পরিচিত। এতে রয়েছে নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা, জিম, চিকিৎসাকেন্দ্র, কনফারেন্স রুম এবং পারমাণবিক হামলার অনুমোদন দেওয়ার সরঞ্জামও।

    • বর্জ্য স্যুটকেস

    পুতিনের সফরের সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয় হলো দেহরক্ষীরা তার মল সংগ্রহের জন্য একটি বিশেষ ব্যাগ বহন করেন। প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থা গোপন রাখার লক্ষ্যে তার দেহরক্ষীরা এই ব্যাগ বা ভ্রাম্যমাণ টয়লেট বহন করেন।

    বিদেশি শক্তিরা যাতে পুতিনের স্বাস্থ্য সম্পর্কে কোনও তথ্য সংগ্রহ করতে না পারেন, সে জন্য এই অস্বাভাবিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। দ্য এক্সপ্রেস ইউএস বলেছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন বিদেশ সফরে গেলে দেহরক্ষীরা তার মল সংগ্রহ করে তা রাশিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে যান।

    দেহরক্ষীরা বিশেষভাবে এসব সংগ্রহ করে সিলমোহর লাগানো ব্রিফকেসে সংরক্ষণ করেন। যা পরে মস্কোতে পাঠানো হয়। এই প্রক্রিয়া দেখা গেছে ২০১৭ সালের ফ্রান্স, ২০১৯ সালের সৌদি আরব এবং সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা সম্মেলনেও।

    বিবিসির সাবেক সাংবাদিক ফারিদা রুস্তামোভাও এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রত্যেক বার বিদেশ সফরে পুতিন একটি ব্যক্তিগত টয়লেট ব্যবহার করেন। ১৯৯৯ সালে নেতৃত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি এ নিয়ম মেনে চলছেন।

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…