দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনয়ন প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যে নৌকার টিকিটও নিশ্চিত করেছে দলটি। তাই যারা নৌকার টিকিট অর্থ্যাৎ মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করতে নেতাকর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় দলীয় কার্যক্রমের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সম্প্রতি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের রাজনীতিতে যুক্ত হবার খবরে আলোচিত হয় গোটা দেশ। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। সাকিবের রাজনৈতিক এলাকা তার জেলা মাগুরাতেও চলছে আলোচনা ও সভা সমাবেশের প্রস্তুতি।
সাকিব মাগুরা-১ আসন (মাগুরা সদর ও শ্রীপুর) থেকে নির্বাচন করবেন। আর মাগুরা-২ আসন (শালিখা-মহম্মদপুর) থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার।
আগামী ৭ই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের বিজয়ী করতে মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক এক বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার শহরের জামরুল তলা দলীয় কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় দলীয় মনোনয়ন অর্থ্যাৎ নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করতে এবং প্রার্থীদের বিজয়ী করতে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো একযোগে কাজ করবেন বলে জানানো হয়। নেতাকর্মীরা বলেন, সাকিব আর নৌকা এখন একই। তাই দলের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। তাই সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে বলেও জানায় নেতারা। এসময় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বাবা মাশরুর রেজা কুটি উপস্থিতি ছিলেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.ফ.ম আব্দুল ফাত্তাহ, সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুন্ডু, সদর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম বাবুল ফকির, আওয়ামী লীগ নেতা আবু নাসির বাবলু, শাখারুল ইসলাম শাকিল, রেজাউল ইসলামসহ অন্যান্যরা।
মাগুরা-১ আসন থেকে এমপি ছিলেন এ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সহকারী সচিব (এপিএস) ছিলেন। শিখরের বাবা এ্যাড. আছাদুজ্জামান পাঁচবারের এমপি ছিলেন। দীর্ঘদিন রাজনৈতিক কার্যক্রমে সক্রিয় থাকা সাইফুজ্জামান শিখর এবার নৌকার টিকিট পাননি। একারণে বিষয়টি নিয়ে প্রথমে অধিকাংশ নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দেয়।
তবে নির্বাচন নিয়ে সাইফুজ্জামান শিখর বলেন, তিনি প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন না। সাকিবের জন্য তিনি সর্বদা প্রস্তুত। নেত্রী তাকে নৌকা দিয়েছেন তাই নৌকার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ তার নেই বলেও জানান সাইফুজ্জামান শিখর।
এআই