এইমাত্র
  • বগুড়ায় শ্বশুরবাড়িতে বৃদ্ধের মৃত্যু, স্ত্রীসহ আটক ২
  • বন্ধুর বাড়িতে মিলল যুবকের হাত-পা বাধা মরদেহ
  • বাজার থেকে এসএমসি প্লাসের সব ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ
  • ভগ্নিপতির পক্ষে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এমপি নয়নের বিরুদ্ধে
  • মেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত ভুল: ওবায়দুল কাদের
  • জেনে নিন ট্রাফিক সাইন ও সিগনালের আদ্যোপান্ত
  • চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত
  • লালমনিরহাটে সুপারি চুরির সন্দেহে দুই শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ
  • নেত্রকোণায় বিরল প্রজাতির বনরুই উদ্ধার
  • ‘গ্লোবাল ডিসরাপ্টর্স’ তালিকায় প্রথম ভারতীয় হিসেবে নাম লেখালেন দীপিকা
  • আজ রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    টেকনাফের রুবেল হত্যার রহস্য উদঘাটন

    গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৭ মে ২০২৪, ০৯:৪৪ এএম
    গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৭ মে ২০২৪, ০৯:৪৪ এএম

    টেকনাফের রুবেল হত্যার রহস্য উদঘাটন

    গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৭ মে ২০২৪, ০৯:৪৪ এএম

    কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে ইজিবাইক চালক রুবেল হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত একমাত্র ঘাতক হাদিসুর রহমান সাগরকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সাগর।

    আটককৃত হাদিসুর রহমান সাগর (২২) টেকনাফ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের টিউবওয়েল মিস্ত্রী জাহাঙ্গীরের পুত্র।

    সোমবার (৬ মে) রাতে ‘সময়ের কন্ঠস্বর’কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গনি।

    ওসি জানান, গত ৪ এপ্রিল মেরিন ড্রাইভ সড়কে টমটম চালক রুবেল হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর থেকে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সামিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল দীর্ঘ এক মাস যাবত টেকনাফ উপজেলাসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে আসছিল। গত রবিবার কক্সবাজারের পিএমখালী এলাকা থেকে ঘাতক সাগরকে আটক করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের একমাত্র ঘাতক হিসেবে স্বীকারোক্তি দেয় সাগর।

    সাগরের বর্ণনামতে ওসি আরো বলেন, ঘটনার দিন ইফতারের পর তারা দুই বন্ধু মাদকদ্রব্য (গাঁজা) সেবন করার জন্য মেরিন ড্রাইভ সড়কে যায়। মেরিন ড্রাইভে অবস্থিত পেট্রোল পাম্প এর সামনে ইজিবাইক (টমটম) গাড়িটি দাঁড় করিয়ে সমুদ্রের বিচে নামে। সেখানে উভয়ে গাঁজা সেবন করে। পরবর্তীতে তারা পেট্রোল পাম্পের সামনে এসে টমটম গাড়িটির ড্রাইভিং সিটে সাগর বসে এবং নিহত রুবেল সাগরের পাশের সিটে বসে।

    এরপর তারা মেরিন ড্রাইভ সড়কের মিঠা পানির ছড়ার দিকে যায়। এসময় নিহত রুবেল অটো চালাতে চাইলে সাগর তাকে বাধা দিয়ে বলে “তুই বেশি নেশাগ্রস্থ, তুই চালাতে পারবিনা, আমি চালাই”। অটো চালানো নিয়ে দুই জনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে নিহত রুবেলের নিকট থাকা গাজা কাটার জন্য থাকা ছুরিটি সাগর কেড়ে নিয়ে নিহত রুবেলের গলায় ঢুকিয়ে দিয়ে অটো থেকে লাফ দিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়।

    এসময় নিহত রুবেলও টমটমসহ রাস্তার খাদে পড়ে গিয়েছিল। এরপর রুবেল গলা থেকে ছুরিটি বের করে সাগরকে মারার জন্য এগিয়ে গেলে সাগর ছুরিটি আবারও কেড়ে নিয়ে রুবেলের মাথার পিছনে আঘাত করে। এক পর্যায়ে রুবেল রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে সাগর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

    আরইউ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…