এইমাত্র
  • কলেজ শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণায় উত্তাল ক্যাম্পাস
  • পুলিশের কোনো কর্মকর্তা অপরাধে জড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হয়
  • যুক্তরাজ্য থেকে ‘পালালেন’ ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • টিপকাণ্ডে চাকরিচ্যুত পুলিশের মামলার আসামী একঝাঁক তারকা
  • বেনজীরকে ঢাকা বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার
  • বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানাল যুক্তরাষ্ট্র
  • আপনি আমার যা দেখছেন সবটাই স্বাভাবিক: উর্বশী রাউতেলা
  • হার্ট অ্যাটাক হয়ে মাঠেই মারা গেলেন আম্পায়ার
  • বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত
  • বাঘায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
  • আজ শুক্রবার, ৫ বৈশাখ, ১৪৩২ | ১৮ এপ্রিল, ২০২৫
    ফিচার

    আজ বিশ্ব টিকটিকি দিবস

    ফিচার ডেস্ক প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৫:১২ পিএম
    ফিচার ডেস্ক প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৫:১২ পিএম

    আজ বিশ্ব টিকটিকি দিবস

    ফিচার ডেস্ক প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৫:১২ পিএম

    মানবজাতির জন্য যেন বছরজুড়ে বিভিন্ন দিবস রয়েছে, তেমনি বিশেষ দিন আছে সরীসৃপদের জন্যও। প্রতি বছর ১৪ আগস্ট বিশ্ব টিকটিকি দিবস হিসেবে পালন করা হয়। দিনটি অন্যান্য দিবসের মতো তেমন সুপরিচিত না। তবে বিভিন্ন দেশে স্থানীয় পর্যায়ে দিবসটি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়।

    দিবসটি উপলক্ষে সরীসৃপ নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো অনলাইনের মাধ্যমে টিকটিকিদের প্রতি তাদের ভালোবাসার তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে থাকে।

    বিশ্ব টিকটিকি দিবস কীভাবে শুরু সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি। বিশ্ব বন্যপ্রাণী তহবিলের (ডব্লিউডব্লিউএফ) মতো শীর্ষস্থানীয় সংস্থাগুলো অবশ্য বিশ্ব টিকটিকি দিবস সেভাবে উদযাপন করে না। তারা প্রধানত পোষা প্রাণী হিসাবে সরীসৃপ সম্পর্কে সচেতনতার ওপর বেশি নজর দেয়।

    তবে বিশ্ব টিকটিকি দিবসের উৎস নিয়ে অস্পষ্টতা থাকলেও দিনটি উদযাপনে কোনো বাধা নেই। অজ্ঞতা এবং সচেতনতার অভাবে বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত এই সরীসৃপটি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। দিবসটা টিকটিকিদের জন্য হলেও দিনটিতে সরীসৃপ প্রজাতি নিয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়াও শুরু করতে পারেন।

    টিকটিকি কর্ডাটা পর্বের, মেরুদণ্ডী উপপর্বের, সরীসৃপ শ্রেণীর একটি প্রাণী। টিকটিকি সাধারণত দৈর্ঘ্যে ৭৫-১৫০ মিমি (৩–৬ ইঞ্চি) হয় এবং প্রায় ৫ থেকে ১৫ বছর বেঁচে থাকে। এসব ছোট আকৃতির টিকটিকি গুলো সাধারণত বিষাক্ত নয় এবং এরা মানুষের ক্ষতি করে না। অধিকাংশ মাঝারি থেকে বৃহদাকারের টিকটিকি শান্ত প্রকৃতির হয়। কিন্ত বিপদের আভাস পেলে এরা কামড় দিতে পারে। অনেকেই টিকটিকিকে বিপজ্জনক প্রাণী হিসেবে ভেবে ভুল করে থাকেন। তবে টিকটিকি নিতান্তই শান্ত ও নিরীহ প্রাণী।

    টিকটিকি সাধারণত উষ্ণ ও আর্দ্র স্থানে থাকে। এরা পোকামাকড় খাওয়ার জন্য বুকে ভর দিয়ে হেঁটে বেড়ায়। শহুরে পরিবেশেও এদের দেখা যায়। প্রাণীটি খুব দ্রুত এর আশেপাশের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে । এরা পোকামাকড় ও মাকড়সা শিকার করে খায় এবং অন্যান্য টিকটিকির প্রজাতি, যারা কম শক্তিশালী বা আচরণগত ভাবে আক্রমণাত্মক নয়, তাদের বাস্তুচ্যুত করতে পারে।

    অধিকাংশ টিকটিকিই নিশাচর। এসব প্রাণী দিনের বেলা লুকিয়ে থাকে এবং রাতে পোকামাকড়ের সন্ধানে বের হয়। টিকটিকি মূলত বারান্দার আলোর প্রতি আকৃষ্ট পোকামাকড়ের সন্ধানে ঘরবাড়ি এবং বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে চড়ে বেড়ায় এবং বিশেষ টিক টিক শব্দ শুনে এদের উপস্থিতি চিহ্নিত করা যায়।

    যেসব টিকটিকি সম্ভাব্য বিপদ থেকে দ্রুত পালাতে পারে না, তারা সাধারণত আচরণগত পরিবর্তন ঘটিয়ে রাতের শেষ দিকে খাদ্যের সন্ধানে বের হয় এবং ভোর হওয়ার আগেই নিরাপদ স্থানে চলে যায়। যেসব টিকটিকি শহুরে পরিবেশে যারা থাকতে পারে না, তারা তুলনামূলক ঘন বন অথবা বনের আশেপাশে থাকতে পছন্দ করে।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…