বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান গুলশান–২ এর ১৯৬ নম্বর বাসভবনে পৌঁছেছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে তারা সেখানে পৌঁছান। এ সময় পুলিশ ও সিএসএফ সদস্যদের প্রটোকলের মাধ্যমে তাদের বাসায় নেওয়া হয়।
এর আগে দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে একই দিন বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে তারেক রহমান, তার স্ত্রী ও কন্যাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি–২০২ ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর আগে সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে বিমানটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতির জন্য অবতরণ করে।
ঢাকায় পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও শীর্ষস্থানীয় নেতারা। এ সময় তিনি নেতাদের সঙ্গে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন এবং উপস্থিত সবার উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। বিমানবন্দরে তারেক রহমানের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবন্দর ত্যাগ করার পর লাল ও সবুজ রঙের বিশেষ বুলেটপ্রুফ বাসে করে তারেক রহমান রাজধানীর ৩০০ ফিট রোড (৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে) যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। ওই বাসে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতিকৃতি সংবলিত নকশা এবং সামনে ‘বাংলাদেশ সবার আগে’ স্লোগান লেখা রয়েছে। পথে তিনি একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
এদিকে বিমানবন্দর থেকে শুরু করে বিভিন্ন সড়কে বিপুল সংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অবস্থান নেন। তারা হাত নেড়ে, ব্যানার–ফেস্টুন ও জাতীয় পতাকা প্রদর্শনের মাধ্যমে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে তারেক রহমান এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। পরে তিনি গুলশান–২ এর ১৯৬ নম্বর বাসভবনে যাওয়ার কথা রয়েছে।
এসকে/আরআই