খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিনটি যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে।
এ উপলক্ষে ঝালকাঠির একমাত্র খ্রিস্টান পল্লী নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের রাজবাড়িয়া গ্রামে থাকা খ্রিস্টান পরিবারের ঘরে ঘরো চলছে উৎসব। দু'দিন আগে থেকেই লাল তারকা আর রঙিন আলোতে সাজানো হয়ছে তাদের বসত ঘরগুলো।
জেলার একমাত্র খ্রীষ্টান পল্লীতে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. মমিন উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো.মিজানুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জোবায়ের হাবিব, সহকারী কমিশনার রিজবি আহমেদ সবুজসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।
এসময় চার্চের ফাদার আন্তানী সুশান্তন গোমেজকে সাথে নিয়ে বড়দিনের কেক কাটেন অতিথিরা।
সকাল থেকে অতিথিদের আপ্যায়ন করতে ঘরে ঘরে তৈরি হয়েছে রকমারি পিঠাপুলি। পল্লীর সামনে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি ও গোসালয়। সব মিলিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাড়তি উচ্ছাস ।
সুশান্তন গোমেজ জানিয়েছেন, দুইশত বছর বা তার আগে পর্তুগীজ শাসন আমলে এ অঞ্চলে খ্রিষ্টানরা বসতি স্থাপন করে। বংশ পরম্পরায় যুগে যুগে বসতি স্থাপন করে থেকে গেছেন অনেকে। বর্তমান এ পল্লীতে ৩০ টি পরিবারে জনসংখ্যা প্রায় ৪০০ জন।
তিনি আরও বলেন, 'খ্রিস্টানদের বিশ্বাস অনুযায়ী, মানবজাতিকে সত্য, ন্যায় ও শান্তির পথে পরিচালিত করতে এবং সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের উদ্দেশ্যে এ দিনেই ফিলিস্তিনের বেথলেহেমে যিশুখ্রিস্ট জন্ম নেন।
এ পল্লীর বড়দিন উৎসব পালনের অন্যতম আয়োজক পলাশ রবিন গোমেজ জানান, নবরাজ খ্রিস্টকে গ্রহণ করত বড়দিনের ৯ দিন আগ থেকে পল্লীতে নভেনা খিস্ট্র যোগ বা পাপস্বীকার পর্ব হয়েছে। পরে ঘরে ঘরে নাচে গানে পরিবেশন করা হয়েছে নগরকৃৃর্ত্তণ বা যিশুর বার্তা।
বড়দিনের সকালে ঘরে ঘরে এবং শিশু বৃদ্ধা সকলের জন্য থাকছে উৎসবের নাস্তা, কেক কাটা এবং অতিথি আপ্যায়ন। বড়দিন উপলক্ষে বিকালে গির্জায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
আরডি