ঢাকার উদ্দেশ্যে তারেক রহমানকে দেখতে রওয়ানা দেওয়ার পথে ভোলায় নিজ বাসার সামনে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন সিফাত হাওলাদার (২৮) নামের এক ছাত্রদল নেতা। পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিনের পূর্ব শত্রুতা এবং রাজনৈতিক কোন্দলের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে।
নিহত সিফাত হাওলাদার ওই ইউনিয়নের আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে এবং ইউনিয়নের ছাত্রদল সভাপতির পদপ্রার্থী ছিলেন। তার বাবা ওই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক।
অভিযুক্তরা হলেন, একই এলাকার হাসিব ও সাকিব। তারা হেলাল মেম্বারের ছেলে এবং সিফাতের চাচাতো ভাই।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় সিফাত তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য বাসা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পরে তার বাসার সামনে তার চাচাতো ভাই সাকিব ও হাসিব পথরোধ করে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সিফাতের বাবা আলাউদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে সিফাতকে হত্যার জন্য তার ভাইয়ের ছেলেরা ওৎপেতে ছিলেন। আজ তারা তার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, তার ভাই হেলাল মেম্বার দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ছিলেন। রাজনৈতিক কোন্দল এবং পূর্ব শত্রুতার জেরেই তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
ঘটনার পর হাসপাতাল এলাকায় স্বজন ও তার মায়ের উপস্থিতিতে পরিবেশ ভারী হয়ে গেছে। স্থানীয়রা হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া হাসপাতালেও পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এনআই