এইমাত্র
  • ৩০০ ফিটের সব বর্জ্য অপসারণ করবে বিএনপি
  • গুলশানের বাসায় পৌঁছেছেন তারেক রহমান
  • ভারতের বিভিন্ন স্থানে বড়দিনের অনুষ্ঠানে একের পর এক হামলা
  • সাফ ফুটসাল খেলতে ২ জানুয়ারি থাইল্যান্ড যাচ্ছেন রাহবার-সাবিনারা
  • অভিমান ভুলে অনুশীলনে ফিরলেন সুজন, বললেন ‘একটু ভুল বোঝাবুঝি’
  • নির্বাসনের অবসান, নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে প্রত্যাবর্তন তারেক রহমানের
  • প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়ে নতুন নির্দেশনা
  • ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানি ঠেকানোর নির্দেশ ট্রাম্প প্রশাসনের
  • বাংলাদেশি সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা
  • আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ তারেক রহমানের
  • আজ শুক্রবার, ১১ পৌষ, ১৪৩২ | ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
    ধর্ম ও জীবন

    বদনজর থেকে রক্ষা পেতে যে আমল ও দোয়া করবেন

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫৪ পিএম
    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫৪ পিএম

    বদনজর থেকে রক্ষা পেতে যে আমল ও দোয়া করবেন

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫৪ পিএম

    মানুষের উপর বিভিন্ন কারণে বদনজর বা কুদৃষ্টি পড়তে পারে। এটি বদনজর শুধু মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে হয় না বরং বদজিন থেকেও হতে পারে। মূলত মানুষের কুদৃষ্টিই বদনজরের প্রধান কারণ। সাধারণত শিশুদের এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যায়, তবে বড়রাও এই থেকে মুক্ত নয়। তাই প্রতিটি মুসলিমের উচিত বদনজর থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত কুরআনি আমল ও দোয়া করা।

    বদনজর থেকে রক্ষার কুরআনি আমল

    বদনজর এড়াতে নিয়মিত নিম্নলিখিত কুরআনি আমলগুলো করা যেতে পারে। নিয়মিত এই আমলগুলো পালন করলে আল্লাহ তাআলা বদনজর থেকে রক্ষা করবেন। তাহলো—

    ১। প্রতিদিন সুরা ফাতিহা পড়া

    ২। প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়া (সুরা বাকারা, আয়াত ২৫৫)

    ৩। ফজর ও মাগরিবের পর সুরা বাকারার শেষের দুই আয়াত পড়া (২৮৫ ও ২৮৬)

    ৪। প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর সুরা ইখলাস পড়া

    ৫। প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর সুরা ফালাক পড়া

    ৬। প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর সুরা নাস পড়া

    এই আমলগুলো প্রতিদিন নিয়মিত পড়া আল্লাহর কাছ থেকে নিরাপত্তা দেবে এবং বদনজরের ক্ষতি থেকে মুক্তি দেবে।

    বদনজর থেকে বাঁচার দোয়া:

    যারা বদনজরে আক্রান্ত, তাদের জন্য ঝাঁড়-ফুক করার সময় নিম্নলিখিত দোয়া পাঠ করা যায়। তাহলো—

    بِسْمِ اللهِ أرْقِيْكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيْكَ وَمِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أوْ عَيْنٍ حاَسِدٍ اللهُ يَشْفِيْكَ بِسْمِ اللهِ أرْقِيْكَ

    উচ্চারণ: ‘বিসমিল্লাহি আরক্বিকা মিং কুল্লি শাইয়িন ইয়ুজিকা ওয়া মিন সাররি কুল্লি নাফসিন আও আইনিন হাসাদিল্লাহু ইয়াশফিকা বিসমিল্লাহি আরক্বিকা।

    অর্থ: ‘আল্লাহর নামে কষ্ট দানকারীর সব অনিষ্টতা থেকে তোমাকে ঝাঁড়-ফুক করছি। হিংসুক ব্যক্তির কুদৃষ্টির অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর নামে তোমাকে ঝাঁড়-ফুক করছি। আল্লাহ তোমাকে আরোগ্য দান করুন।’ (মুসলিম ২১৮৬, তিরমিজি ৯৭২, ইবনু মাজাহ ৩৫২৩, মিশকাত ১৫৩৪)

    أعُوذُ بِكَلِماَتِ اللهِ التاَّمَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطاَنٍ وَهاَمَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ

    উচ্চারণ: ‘আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন কুল্লি শায়ত্বানিন ওয়া হাম্মাতিন ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লিআম্মাতিন।

    অর্থ: ‘আল্লাহর পরিপূর্ণ কালামসমূহের মাধ্যমে শয়তানের সব আক্রমণ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। বিষধর প্রাণীর ও বদনজরকারীর অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইছি।’ (বুখারি ৩১৩২)

    بِسْمِ اللهِ يُبْرِيْكَ ومِنْ كُلِّ داَءٍ يَشْفِيْكَ، ومِنْ شَرِّ حاِسِدٍ إذاَ حَسَدَ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ ذِيْ عَيْنٍ

    উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি ইউবরিকা ওয়া মিন কুল্লি দাঈন ইয়াশফিকা, ওয়া মিন শাররি হাসাদিন ইজা হাসাদা, ওয়া মিন শাররি কুল্লি জি আইনিন।

    অর্থ: ‘আল্লাহর নামে শুরু করছি, তিনি তোমাকে মুক্ত করুন, প্রত্যেক অসুখ থেকে আরোগ্য দান করুন, প্রত্যেক হিংসুকের হিংসা এবং প্রত্যেক বদনজরের অনিষ্ট থেকে মুক্ত করুন।’

    আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এই কুরআনি আমলগুলো নিয়মিত আদায় করার তাওফিক দান করুন, যাতে তারা বদনজর ও কুদৃষ্টির ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকতে পারে। পাশাপাশি যারা ইতিমধ্যেই বদনজরে আক্রান্ত, তাদেরকে এই উল্লেখিত দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

    এফএস

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…