মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। তীব্র শীতে জুবুথুবু হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বেলা বাড়ার সাথে সূর্যের দেখা মিললেও তাতে নেই কোন উত্তাপ।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে। এর আগে সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে সকাল ও সন্ধ্যায় শীতের প্রকোপ চরম আকার ধারণ করছে। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত চারদিক কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে। ফলে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন ও মানুষের চলাচল উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলছে।
তীব্র শীতে সবচাইতে বেশি বিপাকে পড়েছে দিনমজুর আর দরিদ্র রিক্সা-ভ্যান চালকরা। তীব্র এই শীতে দিনমজুররা বের হতে পারছেন না কাজে। অপরদিকে তীব্র এই শীত উপেক্ষা করে রিক্সা-ভ্যান চালকরা বাইরে বের হলেও যাত্রী না পাওয়ায় কমেছে তাদের আয় রোজগার।
শীতের পাশাপাশি বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও। এই মৌসুমে রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
চিকিৎসকরা বলছেন, ঠান্ডাজনিত সংক্রমণ, অপর্যাপ্ত পরিচ্ছন্নতা ও বিশুদ্ধ পানির সংকট এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রী এবং সকাল ৬ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রী রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তিনি আরো জানান, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। মাসের শেষের দিকে কিংবা নতুন বছরের শুরুতে চুয়াডাঙ্গাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও।
এসএম