দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা তার দাদা-দাদির কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তিনি তার দাদা-দাদির কবর করেন। রুমিন ফারহানার দাদা-দাদি এ গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন স্থানীয় যুবদলের সাবেক নেতা আলী হোসেন।
রুমিন ফারহানা জানিয়েছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তার প্রতীক হাঁস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই আসনে বিএনপির জোট শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবকে জোটের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি খেজুরগাছ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়বেন। রুমিন ফারহানা এ সিদ্ধান্তকে ‘অসম্মানজনক’ বলে উল্লেখ করেন।
এ সময় রুমিন ফারহানা সাংবাদিকদের বলেন, “১৭ বছর আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়েছি, মানুষের অধিকারের পক্ষে সংগ্রাম করেছি। এলাকাবাসীর একটাই দাবি ছিল, জোট(প্রার্থী) দেবেন না। কিন্তু সেই আকুতি গ্রাহ্য করা হয়নি। মানুষ ভোটের মাধ্যমেই এর জবাব দেবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আজ থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলাম। এলাকার মানুষের দোয়া চাই, তাদের সমর্থন চাই।”
স্থানীয়দের একাংশের মতে, রুমিন ফারহানা এলাকায় সক্রিয় থাকলেও দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে তিনি মনোনয়ন পাননি। তবে তার স্বতন্ত্র প্রার্থিতা আসনের রাজনৈতিক সমীকরণ জটিল করে তুলতে পারে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বিএনপি জুনায়েদ আল হাবিবকে প্রার্থী করার পর রুমিন ফারহানা প্রথমে দলত্যাগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে তার নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হওয়ায় আসনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে রুমিন ফারহানার পূর্ণাঙ্গ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে তার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এইচএ