কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একটি বসতঘর সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে একটি পরিবার।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের পিপড্ডা গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় ইস্রাফিল মেম্বারের বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে পুড়ে যায় ওই গ্রামের হাজী ইব্রাহিমের বসতঘর। ঘটনার সময় ঘরটিতে হাজী ইব্রাহিমের পুত্রবধূ তার দুই নাতনিকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ভোরে ফজরের নামাজ আদায় করতে উঠে পার্শ্ববর্তী ঘরের প্রতিবেশী ইস্রাফিল মেম্বারের স্ত্রী তার ভাসুর ইব্রাহীমের ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। পরে ভেতরে তাকিয়ে আগুন জ্বলতে দেখে তিনি চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। সঙ্গে সঙ্গে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হলে গ্রামবাসী আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করে। তবে ততক্ষণে আগুনে নগদ দুই লাখ টাকা, পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার, কাপড়চোপড় ও আসবাবপত্র সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়।
এদিকে শুক্রবার সকালে সরেজমিনে ভুক্তভোগী ইব্রাহীমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, অগ্নিকাণ্ডে বসতঘরের সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় নিঃস্ব হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন ইব্রাহীম। পরিবার নিয়ে কোথায় উঠবেন সেই আশঙ্কার কথা জানান তিনি।
ক্ষতিগ্রস্ত হাজী ইব্রাহিম জানান, তারা গভীর ঘুমে ছিলেন। হঠাৎ চিৎকার শুনে উঠে দেখেন ঘরে আগুন লেগেছে। আগুনে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, কাপড়চোপড়, আসবাবপত্রের পাশাপাশি ভোটার আইডি কার্ড, জমির দলিলসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে তার প্রায় বিশ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, আমার সব শেষ হয়ে গেছে, কোথায় যাবো আমি।
এ বিষয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিজা আক্তার বীথি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করলে তা জেলা প্রশাসকের কাছে প্রেরণ করা হবে। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সরকারি সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এফএস