যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল হোসেন নিখোঁজের ঘটনায় এলাকাবাসী ফুঁসে উঠেছে।
গত ৩ দিনে তার খোঁজ না মেলায় রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে শ' শ' নারী পুরুষ যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধের পর বিক্ষোভ করে। পুলিশ-প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষুব্ধরা বেলা ১২ টার দিকে অবরোধ তুলে নেয়। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে রাসেলের সন্ধান না মিললে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
অবরোধ চলাকালীন বিক্ষুব্ধরা জানান, গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে নিখোঁজ হন যুবদল নেতা রাসেল হোসেন। তিনি যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী সাবিরা সুলতানা মুন্নীর একজন সমর্থক। নিখোঁজের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়। কিন্তু নিখোঁজের তিনদিনেও তার সন্ধান মেলেনি। কিন্তু প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করছে।
আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে রাসেলের সন্ধান না মিললে ঝিকরগাছা উপজেলা জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক অবরোধ করা হবে অনির্দিষ্টকালের জন্য।
এসময় 'রাসেলকে ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে, কখন ফিরবে রাসেল ভাই প্রশাসন জবাব চাই'সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবিরা সুলতানা মুন্নী বলেন, যুবদল নেতা রাসেল হোসেন নিখোঁজের ঘটনায় তার স্বজন ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। বিক্ষুব্ধ মানুষের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছেন- ঘটনার রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। নিখোঁজের তিনদিনেও তার সন্ধান না মেলার বিষয়টি দুঃখজনক।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ জালাল আলম জানান, যুবদল নেতা রাসেল হোসেন নিখোঁজের ঘটনায় এলাকাবাসী যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক আটকে বিক্ষোভ করেছেন। এতে কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। বিক্ষুব্ধরা অবরোধ তুলে নিলে মহাসড়কের উভয় পাশে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। রাসেল হোসেনের সন্ধানে সব ধরণের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এসআর