ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার বৈরিতা রাজনীতির অন্দরমহল ছাপিয়ে ক্রিকেট মাঠেও ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে গত মে মাসে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলা এবং অপারেশন সিন্দুরের পর এ মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ। মাঠে খেললেও ক্রিকেটের চিরাচরিত সৌহার্দ্য মাঠে দেখাচ্ছে না কোন দলই।
চলতি বছর এশিয়া কাপে তিন বারের দেখায় দুই দলের অধিনায়ক একে অপরের সাথে হাত মেলায়নি। এমনকি ফাইনালে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি মহসিন নকভি’র হাত থেকে ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানায় ভারতীয় ক্রিকেটাররা।
এমন অবস্থায় সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই পরিস্থিতি বদলাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যা নিয়ে ক্রিকেট অঙ্গনে তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়।
আগামী বছরের আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। এই ম্যাচকে সামনে রেখে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। বোর্ড চেয়ারম্যান মহসিন নকভি জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত যদি হাত না মেলাতে চায়, পাকিস্তানও একই পথে হাঁটবে।
এরপর একই দৃশ্য দেখা যায় এমার্জিং এশিয়া কাপ ও অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুটি ম্যাচে। নকভি বলেন, ভারতীয় চাপের কাছে পাকিস্তান কখনোই নতি স্বীকার করবে না।
স্থানীয় সময় গতকাল রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে নকভি বলেন, ভারত যদি হাত না মেলাতে চায়, তাহলে আমাদেরও এমন কোনো ইচ্ছা নেই। যাই হোক, ভারত যা করবে, তার জবাব দেওয়া হবে। ভবিষ্যতেও আমাদের অবস্থান একই থাকবে। তারা বারবার একই কাজ করবে আর আমরা পিছিয়ে যাব, এমনটা হতে পারে না। এটা অসম্ভব।
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ম্যাচগুলোতেও দুই দলের মধ্যে একাধিকবার বিতর্ক হয়। এ নিয়ে পাকিস্তান দলের কোচ সরফরাজ আহমেদ বলেন, ‘ম্যাচে ভারতীয়দের আচরণ ভালো ছিল না। ক্রিকেটের দিক থেকেও তাদের আচরণ অনৈতিক। এই অবস্থায় বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন অনেকেই।
আরডি