নির্বাচনে অংশগ্রহণ যেন তার রাজনৈতিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একাধিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও কখনোই জামানত ফেরত পাননি। তবুও থেমে যাননি উল্লাপাড়া উপজেলার রাজমান এলাকার শিক্ষক আলমগীর হোসেন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন।
ইতোমধ্যে তিনি নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এবং এলাকায় প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলমগীর হোসেন এর আগে ২০১৯ সালে দুর্গানগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই নির্বাচনে তিনি প্রায় এক হাজার ভোট পেলেও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এরপর ২০২৪ সালে উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বই প্রতীকে অংশ নিয়ে তিনি পান মাত্র ১ হাজার ৬৮০ ভোট। সেবারও তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
বারবার নির্বাচনী ব্যর্থতা সত্ত্বেও নির্বাচনী রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াননি তিনি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি নিয়মিত ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
আলমগীর হোসেন বলেন, আমি ক্ষমতার জন্য নয়, জনসেবার জন্য নির্বাচন করছি। জনগণ যদি আমাকে ভোট না-ও দেয়, তাতে আমার কোনো দুঃখ বা আক্ষেপ নেই। মানুষের পাশে থাকাই আমার মূল লক্ষ্য।
দূর্গানগর ইউনিয়নের রাজমান দহপাড়া গ্রামে তার বাড়ি। তিনি ওই এলাকার প্যারেন্টস কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড স্মার্ট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পারিবারিক অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয়ভাবে আলোচনায় রয়েছে বারবার পরাজয়ের পরও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার এই অদম্য মানসিকতা আলমগীর হোসেনকে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে।
উল্লাপাড়া নির্বাচন কমিশনার আবুল বাশার জানান আলমগীর হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ব্যাংকে জামানতের টাকা জামা দিয়ে ১ শতাংশ ভোটার সামর্থন নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা এটা জনগণের অধিকার বাংলাদেশের নাগরিক যে কেউ চাইলেই অংশগ্রহণ করতে পারবে।
এসআর