বগুড়ার শেরপুরে নবগঠিত শেরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ফেসবুকে প্রকাশিত মিথ্যা বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক এবং ভিত্তিহীন তথ্য ছড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে করেছে নবগঠিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শেরপুর উপজেলা শাখা।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকাল ১১টায় শেরপুর বাসষ্ট্যান্ডে নবগঠিত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি গালিব সরকারের নেতৃত্বে এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি গালিব সরকার মিথ্যা মামলায় অব্যহতি প্রসঙ্গে তথ্যাদি পেশ করে বলেন, আমার নামে একটি ভূয়া আইডি খুলে কে বা কারা আমার প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুকে কটুক্তি করে ফেসবুকে যে পোষ্ট করেছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে আইনের কাছে। এতে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে আনিত তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল।

তিনি আরও বলেন, একটি কুচক্রী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, আমার ব্যাক্তিত্ব ও ইমেজ ক্ষুন্ন করবার প্রয়াসে আমাকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে হটানোর লক্ষে এ কথিত মানববন্ধন করেছে যা শুধুমাত্র তাদের ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহৃত হয়েছে। সেখানে হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কোন নেতা-কর্মী ছিলনা অধিকাংশই অনান্য সংগঠনের এবং বহিরাগত।

গালিব সরকার আরও বলেন, আমি ইতিপূর্বে ঢাকার মোহাম্মাদপুর থানার সরকারী গ্রাফিক্স আর্টস ইনস্টিটিউশনের ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য পদে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও করবো ইনশাআল্লাহ্। আমাকে কোন অপশক্তি রুখতে পারবে না।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রেজাউল করিম শিপ্লব, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান আশিক, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মানিক শেখ, মাসুদ রানা, সানি, পলাশ, মির্জাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, খামারকান্দি ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি আতিক, কুসুম্বি ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভবানিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা জিহাদ আলী সরকার, সাগর আহম্মেদ, ছাত্রলীগ নেতা রোমিওসহ শেরপুর পৌরসভা, বিশালপুর, গাড়ীদহ ও শাহ বন্দেগী ইউনিয়নের ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

এদিকে নবগঠিত শেরপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক হুমায়ন কবির ড্যানি সম্পর্কে জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রে ১৯৯৫ এর স্থলে ১৯৮৮ এসেছে যা আমি উপজেলা নির্বাচন অফিসে সংশোধনের জন্য গত ৬ মাস আগে আবেদন করেছি যার প্রক্রিয়া চলমান আছে, এবং আমার জন্ম সনদ ১৪ জুন ২০২০ সালে করা সেটাতে ১৯৯৫ সাল ও এসএসসি সনদ তার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ করে।