দিনাজপুরের বিরামপুর মর্ডান ক্লিনিকে তছলিমা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূ এক সঙ্গে জমজ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু দুই’জনের একজন জন্ম নিয়েছেন এক’পা ও নেই কোনো প্রস্রাব ও পায়ুপথ। একজন সুস্থ আছেন।
বুধবার (২৭ র্মাচ) বিকেলে বিরামপুর মডার্ণ ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তার জমজ সন্তানের জন্ম হয়। তখন থেকে শহরে এ নিয়ে চলছে আলোচনার ঝড়।
জানাযায়, পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার শালখুরিয়া গ্রামের মাহফুজুর ইসলামের গর্ভবতী স্ত্রী তছলিমা বেগম কে বিরামপুর মডার্ণ ক্লিনিকে নেয়া হয়। পরর্বীততে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তার জমজ সন্তানের জন্ম হয়। তাদের মধ্যে একটি মেয়ে সন্তান এবং অপরটি প্রস্রাব ও পায়ুপথ বিহীন এক পা বিশিষ্ট্য সন্তান। এই এক পা বিশিষ্ট্য সন্তান জন্ম নেয়ার খবরে অনেকে শিশুটিকে দেখার জন্য ক্লিনিকে ভিড় করেন। ঐ দম্পতির ৮ বছরের একটি ছেলে এবং ৫ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।
জন্ম নেওয়া নবজাতকের বাবা মাহফুজুর ইসলাম জানান, তার স্ত্রী এর আগেও দুই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, তারা সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে জন্মগ্রহন করেন। তাদের পরিবারে প্রথম বারের মতই এমন সন্তানের জন্ম হয়েছে। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক। উন্নত চিকিৎসা করার মত নেই কোনো সার্মাথ। উন্নত চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চান সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি ও সরকারের কাছে।
সিজারিয়ান অপারেশন কারী চিকিৎসক ডাক্তার তাহেরা বেগম জানান, জেনেটিক্যাল সমস্যার কারণে জন্মগত ভাবে শিশুটির ত্রুটি দেখা দিয়েছে। শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে। অপারেশনের মাধ্যমে তার প্রস্রাব ও পায়ুপথ বের করা না গেলে তার বেঁচে থাকা সংকটের মধ্যে পড়তে পারে।
এআই