ফিলিস্তিনের গাজায় দুর্ভিক্ষ এড়াতে অবাধ ত্রাণ প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য ইসরাইলকে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।
সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এ আদালত বলেছেন, ইসরাইলকে অবশ্যই ‘অবিলম্বে জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক পরিষেবা ও মানবিক সহায়তার বিধান’ অনুমোদন করতে হবে।
গাজায় কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে যেতে পারে পর্যবেক্ষকদের এমন সতর্কতার পর এ আদেশ দিল আইসিজে। যদিও ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজায় ত্রাণ প্রবেশ আটকে দিচ্ছে। তবে এমন অভিযোগকে ‘পুরোপুরি ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছে ইসরাইল।
এর আগে গত জানুয়ারিতে গাজায় গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইসরাইলকে আদেশ দিয়েছিল দ্যা হেগের এই আন্তর্জাতিক আদালত। তবে আইসিজের আদেশ মানায় আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করার কোনো ক্ষমতা এ আদালতের নেই।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ও অন্যদের মাধ্যমে পরিচালিত ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ গত সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলেছে, গাজায় একটি ‘বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতির উদ্ভব হচ্ছে।
জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত তাদের রায়ে আরও বলেছেন, ‘গাজা এখন আর শুধু দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির সম্মুখীন নয় বরং দুর্ভিক্ষ শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকদের মতে, ২৭ জন শিশুসহ ৩১ জন ইতিমধ্যেই অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে মারা গেছে।
আদালত মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের মন্তব্যও উল্লেখ করেছেন। তিনি গত সপ্তাহে বলেছিলেন, ‘ক্ষুধা, অনাহার এবং দুর্ভিক্ষের এই পরিস্থিতি ইসরায়েলের মানবিক সহায়তা এবং বাণিজ্যিক পণ্যের প্রবেশ ও বিতরণের ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার ফল। অধিকাংশ জনগণ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে।’
আদালত বলেছেন, ‘ইসরায়েলকে অবশ্যই বিলম্ব না করে জাতিসংঘের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা, নিরবচ্ছিন্ন ত্রাণ সরবরাহ... জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় মৌলিক পরিষেবা নিশ্চিত করার জন্য সব প্রয়োজনীয় এবং কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।’ রায়ে আরো বলা হয়, ‘ইসরায়েলকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, তার সামরিক বাহিনী যেন গাজায় ফিলিস্তিনিদের অধিকার লঙ্ঘন না করে।
পিএম