এইমাত্র
  • হেফাজত নেতা মামুনুল হক মুক্তি পেতে যাচ্ছেন
  • চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়াতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর চিঠি
  • পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
  • রাত ৮টার পর শপিং মল বন্ধের নির্দেশনা
  • মালিতে রুটি-দুধের চেয়ে দাম বেশি বরফের
  • কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৬
  • নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি হাবীব
  • গরু-ছাগলে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ
  • মিয়ানমারে ৪৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড
  • অঙ্গীকারনামা দিয়ে জামিনে মুক্তি পেলেন সেই সঞ্জয় রক্ষিত
  • আজ মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৩০ এপ্রিল, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    তাহিরপুরে দুই পক্ষের সংর্ঘষে নিহত ১, আহত ২০

    জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫১ এএম
    জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫১ এএম

    তাহিরপুরে দুই পক্ষের সংর্ঘষে নিহত ১, আহত ২০

    জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫১ এএম

    ভারতের কয়লা গুহায় ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে দুই পক্ষের সংর্ঘষে জজ মিয়া (৪০) নামে এক জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুপক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে।

    রবিবার (০৭ এপ্রিল)সকাল ১১টার দিকে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নে চারাগাও বালুর চরে ঘটনাটি ঘটে।

    একেই দিন রাত ১১টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় জজ মিয়া মারা যান।

    নিহত জজ মিয়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে। এই ঘটনায় রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন জনকে আটক করেছে।

    আটককৃতরা হলেন, ময়মনসিংহ এর ত্রিশাল এলাকার বাসিন্দা আবু বক্করের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৮), তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের মোঃ আছমত আলীর ছেলে আব্দুল মজিদ (৫০) ও একেই গ্রামের আলকাছ মিয়ার ছেলে ফখর উদ্দিন (৩০)। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

    নিহতের পরিবার, স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রবিবার সকালে অবৈধ ভাবে চোরাই পথে ভারতের কয়লা গুহায় যার স্থানীয় চিহ্নিত চোরা-চালানীদের প্ররোচনায় লালঘাট গ্রামের আলকাছের ছেলে মুছা মিয়া (২২), বাচ্ছু মিয়া (৪৫), শরিফুল ইসলাম (২৮) সহ ১০-১২ জনের একটি দল। সেখানে গিয়ে মুছা মিয়া (২২) ও বাচ্ছু মিয়া (৪৫) ছেলে রাজা মিয়ার মধ্যে কয়লা গুহায় ঝগড়া হয়।

    পরে মুছা মিয়া বাংলাদেশে আসলে চারাগাও বালুর চরে কিতাব আলীর ছেলে জজ মিয়া (৪০) কেন আর কি নিয়ে ঝগড়া হয়েছে জানতে চাইলে কথাকাটা কাটির এক পর্যায়ে বাচ্চু মিয়াসহ বাবুল মিয়া (৩৫), খুরশেদ মিয়া (৩৪), সুরাত মিয়া (৫০) সহ ১০ জনের একটি দল দেশীও অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা চালিয়ে গুরুত্বর আহত করে। খবর পেয়ে জজ মিয়া ও বাচ্ছু মিয়ার লোকজন এগিয়ে আসলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়।

    গুরুত্বর আহতদের উদ্ধার করে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে জজ মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিকেলে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে রাবেয়া বেগম (২৫) কে। আর বাচ্চু মিয়া (৪৫) শরিফুল ইসলাম (৩৫) কে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। আর অন্যান্য আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

    গুরুত্বর আহত জজ মিয়া রাতে ১১টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করে। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নিহতের আত্নীয় বাচ্ছু মিয়া।

    তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এই ঘটনায় সাথে জড়িত সন্দেহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আমাদের অভিযান চলছে। তবে এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…