কক্সবাজারের টেকনাফের গহীন পাহাড়ী অরণ্যে লুকিয়ে থাকা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ূয়া এক শিশু শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে।
অপহরণকারিরা ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে।
অপহৃত শিশু শিক্ষার্থী হচ্ছে- টেকনাফের হ্নীলা জাদীমুরা নয়াপাড়া এলাকার মৃত মো.হোছনের পুত্র মো.সাইফ (৯)।
স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে জানা যায়,রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকালের দিকে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি আসার পথে নয়াপাড়া শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন সড়ক থেকে অপহরণকারি চক্রের সদস্যরা তাকে অপহরণ করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়।
অপহৃত শিশু সাইফ জাদীমুরা রহমানিয়া হোসাইনিয়া মাদ্রাসার নূরানী বিভাগের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র।
ঘটে যাওয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে, সোমবার (২৯ এপ্রিল) অপহৃত হওয়া শিশু শিক্ষার্থীর মামা জামাল উদ্দীন সময়ের কন্ঠস্বরকে জানিয়েছেন রবিবার বিকালে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন নয়াপাড়া শালবাগান রাস্তা মাথা নামক এলাকা থেকে তার ভাগীনাকে অপহরণ করেছে।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার পর সাইফ বাড়িতে ফিরে না আসায় আমাদের পরিবারের সদস্যরা তাকে অনেক খুঁজাখুঁজি করার পরও তার সন্ধান পাওয়া যায় নি।
এরপর সকালে অপহরণকারিরা একটি মোবাইল ফোন থেকে কল করে সাইফকে জীবিত ফেরত পেতে হলে তাদের দাবিকৃত ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। সময় মত টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি প্রদান করে।
এব্যাপারে অপহৃত ভাই রিয়াজ উদ্দীন কান্না জড়িত কন্ঠে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন,আমার পিতা নাই, টাকাও নাই অপহরণকারিদের দাবিকৃত এত টাকা কিভাবে দিবো।
তার ভাইকে জীবিত উদ্ধার করার জন্য সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বর্তমানে টেকনাফ মডেল থানার ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রাজ্জাক সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, সংঘটিত ঘটনাটি শুনার পর থেকে শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করার পাশাপাশি অপরাধীদের ধরতে উক্ত অভিযানে স্থানীয়দের সহযোগিতাও কামনা করেছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এফএস