এইমাত্র
  • হেফাজত নেতা মামুনুল হক মুক্তি পেতে যাচ্ছেন
  • চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়াতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর চিঠি
  • পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
  • রাত ৮টার পর শপিং মল বন্ধের নির্দেশনা
  • মালিতে রুটি-দুধের চেয়ে দাম বেশি বরফের
  • কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৬
  • নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি হাবীব
  • গরু-ছাগলে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ
  • মিয়ানমারে ৪৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড
  • অঙ্গীকারনামা দিয়ে জামিনে মুক্তি পেলেন সেই সঞ্জয় রক্ষিত
  • আজ মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৩০ এপ্রিল, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    ত্রিশালে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

    মামুনুর রশিদ, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম
    মামুনুর রশিদ, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম

    ত্রিশালে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

    মামুনুর রশিদ, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম

    ময়মনসিংহের ত্রিশালে মিথ্যা মামলারর প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ভুক্তভোগী ও এলাকার হাজারো মানুষ।

    সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের ঈদগাঁহ বাজারে হাজারো নারী-পুরষের উপস্থিতিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে তারা মিথ্যা মামলার প্রত্যাহারের দাবীতে বিক্ষোভ করেন।

    গত ৬ এপ্রিল শনিবার রাত ৯ টায় উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের ঈদগাঁহ বাজারে চাঞ্চল্যকর দুই খুনের প্রধান আসামী ভূমিদস্যু চক্র ‘জিলানী বাহিনীর’ প্রধান আব্দুল কাদের জিলানী (৪৯) গনপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় ৭ এপ্রিল নিহত জিলানীর স্ত্রী সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন ত্রিশাল থানায়। এ মামলার যে ১২ জনকে আসামী করা হয়েছে তারা সবাই পূর্বের বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টার, আবুল কালাম ও দপ্তরী রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার বাদী ও সাক্ষী।

    ভুক্তভোগী নিহত মতিন মাস্টারের পুত্র বধূ রত্না, ভাতিজি নুসরাত জাহান লিজা ও নিহত আবুল কালামের ভাতিজা ওবাইদুল হাসান বলেন, গত ৬ এপ্রিল স্থানীয় মঠবাড়ী ইউনিয়নের ঈদগাঁহ বাজারে ডাকাতির উদ্দেশ্যে অটো রিকসা যুগে ২০-২৫ জন লোক ও দেশীয় অস্ত্রসহ নিহত আব্দুল কাদের জিলানী দোকানে হামলা চালান। ঐ সময় পূর্বের তিন মামলার বাদী ও সাক্ষীদের দোকানে দেখতে পেয়ে তাদের উপর হামলা করেন। এতে হারুন অর রশিদ ও কবির মিয়া গুরুতর আহত হয়ে প্রথমে মমেক হাসপাতালে।

    পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। হামলা চলাকালে স্থানীয় দোকানে থাকা লোকজন জিলানী বাহিনীকে ধাওয়া দেয়। রাতের অন্ধকারে জিলানির হাতে থাকা টর্চলাইট দৌড়ে পালানোর সময় পড়ে গেলে স্থানীয় লোকজন ডাকাত বলে তাকে ধরে গনপিটুনী দেয়। তার সাথে থাকা বাকিরা পালিয়ে যায়। জিলানী বাহিনীর লোকজন নিয়ে আসা অটো রিকসাও আটক করে এলাকাবাসী। পরে পুলিশ এসে আহত জিলানীকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে আমরা শুনি জিলানী মারা গেছে।

    এ ঘটনায় ত্রিশাল থানায় জিলানীর স্ত্রী বাদী হয়ে ১২ জনের নাম ও অজ্ঞাত আরেক কয়েক জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা পূর্বের বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টার, আবুল কালাম ও দপ্তরী রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার বাদী ও সাক্ষী। তাদের আসামী করার উদ্দেশ্য হলো দুই খুনের মালার প্রধান আসামী ছিল জিলানী ও তার পরিবারের সদস্যরা। তারা মামলাটিকে অন্য খাতে প্রবাবিত করতে চাচ্ছে। আমরা পরিবার নিয়ে বাঁচতে চাই মিথ্যা মালার প্রত্যাহার চাই।

    ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, গত ৬ এপ্রিল শনিবার রাতে পূর্বের বিরোধীতার জেরে উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের ঈদগাহ বাজারে দুই গ্রুপের সংর্ঘষ হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গেলে আহত অবস্থায় জিলানীকে উদ্ধার করে মমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে করর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জিলানীর স্ত্রী সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

    উল্লেখ্য, আব্দুল কাদের জিলানী ২টি হত্যা মামলা, ২টি ডাকাতির মামলা, চাদাবাজীর মামলা, অস্ত্র মামলা, চুরির মামলা, মারামারির মামলাসহ ১২টি মামলার চার্যশীট ভুক্ত আসামী ও ১০টি জিডির মামলার আসামী। আব্দুল কাদের জিলানী ২টি মামলায় আদালতের রায়ে সাজা প্রাপ্ত আসামী। ২০২২ সালে র‌্যাব প্রেস ব্রিফিং জানাযায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টার ও রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলা থেকে বাঁচার জন্য জিলানী ও তাঁর সহযোগীরা আবুল কালামকেও হত্যা করেন।এ নিয়ে মোট তিনটি হত্যার ঘটনা ঘটায় জিলানী বাহিনী। তারা বিভিন্ন সময় জালিয়াতির মাধ্যমে এলাকার কৃষকদের ভূমি দখল করে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে অতিরিক্ত মুনাফায় বিক্রি করত।

    তাদের এ কাজের বিরোধিতা করায় ২০১৮ সালের ৪ জুলাই জিলানী বাহিনী মতিন মাস্টারকে হত্যা করে তাঁর গলাকাটা লাশ পুকুরে ফেলে রাখে। এ হত্যা মামলায় জিলানীর ভাই তোফাজ্জল হোসেনসহ আটজনের নামে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এরপর ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দপ্তরি রফিকুল ইসলামকে হত্যা করে জিলানী বাহিনী। এতে আবদুল কাদের জিলানীসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। আবদুল কাদের জিলানী ভূমি দখলসহ নানা অপকর্মের জন্য ২০ থেকে ২৫ জনের একটি বাহিনী গড়ে তোলেন এলাকায়।

    পিএম

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…