মিয়ানমারের চলমান সহিংসতা হাত থেকে নিজেদের প্রান বাঁচাতে এবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি, উপজেলার অন্তর্গত আষাঢ়তলী-জামছড়ি ও ঘুমধুম রেজু সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে পৃথকভাবে এপার সীমান্তে অনুপ্রবেশ করলো মিয়ানমার সেনাবাহিনীতে কর্মরত ১৩ সেনা সদস্য।
মঙ্গলবার(১৬ এপ্রিল) সকালের দিকে মিয়ানমারের ১২ সেনা সদস্য সে দেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হাত থেকে প্রান বাঁচাতে সীমানা অতিক্রম করে বাংলাদেশ সীমান্ত প্রহরী বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করে আশ্রয় নেয়। এরপর তাদেরকে নিরস্ত্র করা হয়।তারা এখন বিজিবির হেফাজতে রয়েছে।
এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বাবুল কান্তি চাকমা গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে আমতলীপাড়া সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ২ জন সেনা সদস্য এপারে প্রবেশ করে বিজিবির কাছে আশ্রয় নিয়েছেন। বাকী ১১ জন উক্ত উপজেলার অন্য পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশ করেছে। ওপারে দূ'পক্ষের ব্যাপক সংঘাত এখনো চলমান রয়েছে। সেই দেশ থেকে পালিয়ে আসা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমনও গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন,
জামছড়ি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে নতুন করে আরও ১১ জন মিয়ানমারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এপারে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা এখন বিজিবির হেফাজতে রয়েছে।
এদিকে মিয়ানমারে থেকে পালিয়ে আসা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন, সকালে ১২ জন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের নিরস্ত্র করে বিজিবি ক্যাম্পে হেফাজতে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত.এনিয়ে গত তিন দিনে কক্সবাজারের টেকনাফ, বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে সর্বমোট ২৯ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পালিয়ে এসে বাংলাদেশ সীমান্ত প্রহরী বিজিবির কাছে আশ্রয় নিয়েছে।
এফএস