ভূমি মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি বলেছেন, খাদ্যের সয়ংসম্পূর্ণতা নিশ্চিত রাখতে তিন ফসলী, দো-ফসলী জমি কোন খাতে ব্যবহার করা যাবে না। কৃষি জমি নষ্ট না করে জনসংখ্যা অনুপাতে খাদ্যের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে ফসলি জমি অন্য কাজে ব্যবহার করতে হলে নিতে হবে সরকারের অনুমতি।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রংপুর সফরে এসে সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, উত্তরে জেলা পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর শস্য ভান্ডার। শস্য উৎপাদনের এসব জমি আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। এক্ষেতে সকলের সহযোগিতা চাই। সুন্দর ভূমি ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য যেন খাদ্য নিশ্চিত করতে পারি, সেই লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
ভূমিসেবায় হয়রানি বন্ধে মন্ত্রী বলেন, ভূমি জরিপের উপর নির্ভর করে খতিয়ান ডিজিটাল পদ্ধতিতে চালু করা হচ্ছে। ভূমিসেবায় ই-নামজারী, ই-খাজনা দেওয়া চালু করা হয়েছে। আর কোন গ্রাহককে অফিসে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হবে না। এছাড়া দেশের প্রতিটি মানুষের সাথে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাথে জড়িত। এটিতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা দরকার। আমরা পর্যায়ক্রমে ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ভূমিসেবাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাবো যেন জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে জানা যাবে একজন ব্যক্তির কি পরিমান এবং কোন খতিয়ানে কত জমি রয়েছে। ফলে জাল দলিলের সমস্যা আর হবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর মন্ডল, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, জেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য জাসেম বিন জুম্মন, মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাগন।
পরে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের হল রুমে বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন মন্ত্রী। এতে বিভাগের আট জেলার জেলা প্রশাসক, সহকারী ভূমি কমিশনারসহ সংশ্লিস্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমআর