গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে চলামান সংঘাত বন্ধের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই নিরীহ প্রাণ হারানোর পাশাপাশি খাবার এবং আশ্রয়ের অভাবে দিন কাটাচ্ছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।
গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তথ্যমতে, প্রায় সাত মাস ধরে চলা সংঘাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৬২২ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ২৬ জন। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে আহত হয়েছে ৭৭ হাজার ৮৬৭ ফিলিস্তিনি ।
ইতিমধ্যে হামাসের একটি প্রতিনিধিদল যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার জন্য মিশরে পৌঁছেছে। ইসরায়েল হামাসকে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে। হামাস এ বিষয়ে সম্মত না হলে রাফায় স্থল অভিযান শুরু করার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসও যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ইসরায়েল এবং হামাসকে চাপ দিচ্ছেন।
ইউএনআরডব্লিউএর তথ্যানুযায়ী, গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি নারীর প্রাণহানি হয়েছে। ১৯ হাজার ফিলিস্তিনি নারী আহত হয়েছেন। যেসব নারী মারা যাচ্ছেন তাদের অনেকেই সন্তানের মা। ফলে গড়ে প্রতিদিন মা হারাচ্ছে অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশু।
এদিকে গাজায় ৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। এক এক্স বার্তায় সরায়েলি সরকারি কার্যক্রমের সমন্বয়কারী সংস্থা জানায়, উত্তর গাজায় বিমান থেকে মানবিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২২ ট্রাক ত্রাণ উত্তর গাজায় সরবরাহ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েল যে সংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। কারণ অবরুদ্ধ এলাকায় প্রতিদিন এক হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক দরকার।
আরইউ