তীব্র তাপদাহে প্রতিনিয়ত জনজীবন হয়ে উঠেছে অতিষ্ঠ , সেই সাথে প্রচণ্ড গরমে শরির থেকে বের হয়ে যাচ্ছে জলীয় অংশ, ফলে ডিহাইড্রেশন থেকে শুরু করে পেট খারাপ, নানা ধরনের রোগের আবির্ভাব ঘটছে । এ অবস্থায় শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে পর্যাপ্ত পানি পানের পাশাপাশি, সব্জি খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই যা শরীর হাইড্রেটেড রাখে।
লাউ ওজন কমাতে দারুণ উপকারী একটি সবজি। লাউয়ে প্রচুর পানি থাকে, যা দেহের পানির পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এতে ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম। তাছাড়া এই খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বেশ ভাল পরিমাণে রয়েছে। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি লাউ ফাইবার কমাতে সাহায্য করে।
রঙিন শাকসবজির মধ্যে অন্যতম মিষ্টি কুমড়া। অনেকেই হয়তো জানেন না মিষ্টি কুমড়ার বীজও শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। কুমড়োর মধ্যে ফাইবার রয়েছে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে ভিটামিন এ রয়েছে, চোখে জন্য ভাল। এমনকী হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সহায়ক কুমড়ো।
করলা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী। একইভাবে, করলা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাশাপাশি ভিটামিন এ ও সি রয়েছে এই গ্রীষ্মকালীন সবজিতে। এই আনাজ ত্বকের বার্ধক্যও কমায়।
চালকুমড়ো গরমে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এই সবজির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান যা যে কোনও ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। গরমে নাক দিয়ে রক্তপাতের সমস্যাকে প্রতিরোধ করে চালকুমড়ো।
ঝিঙে পোস্ত খেতে কে না ভালবাসে ! এই সবজি রক্তকে পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে এবং লিভারকে ডিটক্সিফাই করে। অ্যাসিডিটির সমস্যাও কমিয়ে দেয় এই সবজি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গরমে এই সবজি অবশ্যই পাতে রাখুন।
চিচিঙ্গের তৈরি তরকারি রোজ খান। লিভারের সমস্যা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিসের সমস্যাকে দূরে রাখতে চিচিঙ্গে দারুণ উপকারী। যেহেতু গরমকালেই শুধু এই সবজি পাওয়া যায়, তাই রোজ নিয়ম করে চিচিঙ্গে খান।
ঢ্যাঁড়শে রয়েছে পুষ্টির ভাণ্ডার। এতে আছে ফাইবার, ভিটামিন বি৬ এবং ফোলেটের মতো উপাদানে ভরপুর। ভিটামিন বি ডায়াবেটিক স্নায়ুর নানা সমস্যা প্রতিহত করে। এই হড়হড়ে সবজি কোলেস্টেরল ও সুগারের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এমনকী ঢ্যাঁড়শের তৈরি তরকারি খেলে ওজন কমানোও সহজ হয়।
আবার কিছু খাবার খেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। এই তালিকার শুরুতেই আছে আলট্রাপ্রসেসড খাবার। সাধারনত এ ধরনের খাবারে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে, আর অতিরিক্ত লবন কিডনির জন্য ক্ষতিকর , এই ধরনের খাবারের ক্ষেত্রে কিডনি প্রথমেই তা টের পেয়ে , শরীর থেকে পানি টেনে অতিরিক্ত লবণের ঘনত্ব কমানোর চেষ্টা করে। তখন শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের পানি কমে যেতে থাকে। যার ফলাফল ডিহাইড্রেশন। তাই এই ক্ষেত্রে আলট্রাপ্রসেসড খাবার প্রথমেই এড়িয়ে চলা ভালো। আলট্রাপ্রসেসড খাবারের তালিকায় আছে- চিপস, কোল্ড ড্রিঙ্কস, কেক, আইসক্রিম, ফ্রায়েড প্যাকেজড ফুড, দীর্ঘদিন যেমন ৩-৬ মাস সংরক্ষণ করা যায় এমন প্যাকেজড ফুড।
এ তালিকায় কিছু নির্দিষ্ট সবজিও আছে। সবজি মানেই যে শরীর হাইড্রেটেড রাখবে তার কোনো অর্থ নেই। বরং এমন অনেক সবজি আছে, যেগুলো শরীর ডিহাইড্রেটেড করে দেয়। আর এই তালিকায় আছে- বাঁধাকপি, গাজর, বেগুন, বিটগাজর, মাশরুম, ব্রোকলি ইত্যাদি।