এইমাত্র
  • বয়স ৩০ হলেই এড়িয়ে চলুন এই পাঁচ ধরনের খাবার
  • টাওয়ার ভাগাভাগিতে চুক্তিবদ্ধ হলো রবি ও বাংলালিংক
  • মালয়েশিয়ায় কেমন আছেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা
  • ন্যায়বিচার পাওয়া প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার: প্রধান বিচারপতি
  • মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিতে ষষ্ঠ–দশম গ্রেডে চাকরির সুযোগ
  • আমরা তথ্য দেয়ার জন্য প্রস্তুত: ডেপুটি গভর্ণর খুরশিদ আলম
  • দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক
  • যে কারণে ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘রেমাল'
  • ভৈরবে পুত্রবধূ হত্যা মামলায় র‍্যাবের হাতে শাশুড়ি আটক, পরে মৃত্যু
  • পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে চলে গেল বিশাল গ্রহাণু!
  • আজ শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৮ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    গোসলের ভিডিও নিয়ে ব্ল্যাকমেইল, লজ্জায় পড়াশুনা ছাড়ল তরুণী

    আব্দুল কাদের, ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৪ মে ২০২৪, ১১:০৩ পিএম
    আব্দুল কাদের, ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৪ মে ২০২৪, ১১:০৩ পিএম

    গোসলের ভিডিও নিয়ে ব্ল্যাকমেইল, লজ্জায় পড়াশুনা ছাড়ল তরুণী

    আব্দুল কাদের, ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৪ মে ২০২৪, ১১:০৩ পিএম

    ধামরাইয়ে ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ম্যাসেঞ্জারে কুপ্রস্তাব দিয়েছে দুই যুবক। এমনকি তাদের কু প্রস্তাবে রাজি না হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পোস্ট করারও হুমকি দেওয়া হয়েছে।

    এ ঘটনায় গত ২৮/০৫/২০২৩ ইং তারিখে মেয়ের নিরাপত্তা ও উক্ত ঘটনার বিচার চেয়ে জড়িত ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধে প্রথমে ধামরাই থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে মেয়ের বাবা আনোয়ার হোসেন।

    উক্ত ঘটনায় থানায় কোন সঠিক বিচার না পেয়ে আইসিটি আইনের ১৮(১) ক, খ, ২৫(১) ক, ২৯(২.২) ধারায় বাটারখোলা এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে মামুন(২৩) ও নয়া মিয়ার ছেলে হিরো(৩৫) এর নামে বাদি হয়ে সাইবার অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ঢাকা কোর্টে মামলা দায়ের করেন মেয়ের বাবা। পরবর্তীতে মামলা তদন্ত আসে ধামরাই থানা পুলিশের কাছে।

    সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, আনোয়ার হোসেনের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে প্রতিবেশির বাড়িতে গিয়ে তাদের গোসলখানায় গোসল করতো। এভাবে চলতে তাকে বেশ কিছুদিন। বিবাদীরা ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি সংগ্রহ করে মামুন হোসেনের ব্যবহৃত Mab Arian নামে ফেসবুক আইডি হইতে ভুক্তভোগী কে কু-প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করিতে থাকে। বাদী বিষয়টি জানার পর সাবধান করে দিলে ও বিবাদীরা মেয়েটিকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। পরে বিষয়টি মামলায় রুপ নেয়।

    ভোক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, আমার প্রতিবেশী বান্ধবীর বাড়িতে আমি প্রায়ই গোসল করতাম। একদিন মামুন আমার ম্যাসেঞ্জারে কল দিয়া বলে "তর গোসলের উলঙ্গ ভিডিও আছে ছবি আছে আমার কথা না শুনলে সব ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করুম।

    তাই মানসম্মান বাচাতে চাইলে যা বলি শুনবি তাহলে তোর ভাল হবে।"পরে ম্যাসেঞ্জারে অনেক চ্যাটিং(কথা) হয়েছে। প্রতিনিয়তই আজে বাজে প্রস্তাব দিতো এবং ডিস্টার্ব করতো। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই. বদিউজ্জামান বলেন, মামলাটি অনেকদিন হয়ে গেছে কিন্তু আইসিটি ধারা হওয়াতে এবং মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে হওয়ায় প্রতিবেদন দিতে পারছি না। আসামীর মোবাইল জব্দ করে ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে, এজন্য সি আইডি থেকে প্রতিবেদন না আসলে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারবো না।

    মামলা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে সময় প্রসঙ্গে কর্মকর্তা আরো জানায়, মামলা আমার কাছে আসতে সময় লেগেছে তাছাড়া ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে বারবার তাগিদ দিচ্ছি আশা করি আগামী সপ্তাহে রিপোর্ট হাতে পেলে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো।

    মামলার বাদী আনোয়ার হোসেন বলেন, মামলার তদন্ত করতে আমার কাছে এসেছিল পুলিশ তারপরও তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেয়নি পুলিশ।মেয়ের বাবা কান্না বিজরিত কন্ঠে আরো জানায়, আসামী এক পুলিশের বোন জামাই।

    পুলিশে চাকুরি করে তাই তিনি ফোন করে মামলা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার অপচেস্টা করছে। মামলা করে বিচার পাচ্ছিনা অন্যদিকে আমি গরীব হওয়ার সুযোগে আসামীপক্ষের ভয়ে এলাকার প্রায় সকল মেয়েই আমার মেয়ের সঙ্গ ছেড়ে দিয়েছে। লজ্জায় আমার মেয়ে কলেজে যেতে পারে না তাই পড়ালেখা ছেড়ে গার্মেন্টসে চাকুরী নিয়েছে। এঅবস্তায় মেয়েকে কোন জায়গায় বিয়েও দিতে পারছি না।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…