দেশের মাইক্রোফাইন্যান্স খাতের উন্নয়নে আগামী পাঁচ বছরের কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে 'সিডিএফ এর স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং ওয়ার্কশপ ২০২৫-২০৩০' অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় অবস্থিত 'আম্বালা ফাউন্ডেশন' এর সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করে সিডিএফ (ক্রেডিট এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম)।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সিডিএফ-এর চেয়ারম্যান মুর্শেদ আলম সরকার। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের।
তিনি বলেন, 'সিডিএফ-কে আরও উন্নয়নকেন্দ্রিক হতে হবে। দারিদ্র্য বিমোচন, পুঁজি গঠন এবং সংযোগ স্থাপনে অধিক মনোযোগ দিতে হবে। বর্তমান বিশ্ব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে; সিডিএফ-কে মাইক্রোফাইন্যান্সের ক্রেডিট সিস্টেমের রূপান্তর নিয়ে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষকে প্রভাবিত করা এবং সদস্য সংস্থাগুলোকে দুর্গম এলাকায় কাজ করতে উৎসাহিত করতে হবে, যেখানে পিকেএসএফ তাদের সহযোগীতা করতে পারে।'

কর্মশালার উদ্দেশ্য ও কাঠামো তুলে ধরেন সিডিএফ-এর নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল আউয়াল। পুরো কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন গবেষক ও পরামর্শক দেওয়ান এ এইচ আলমগীর। তিনি তার বক্তব্যে তিনি বলেন, 'মাইক্রোফাইন্যান্সের জন্ম বাংলাদেশে হলেও বর্তমানে গবেষণা ও নেতৃত্ব দেশের বাইরে চলে গেছে। তাই লিংকেজ সার্ভিস ডেলিভারি ঠিক করতে হবে এবং অনলাইন ট্রেনিং ও সার্টিফিকেট কার্যক্রম চালু করে এই খাতের প্রায় অর্ধমিলিয়ন কর্মীকে দক্ষভাবে কাজে লাগাতে হবে।'
কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আকন্দ মো. রফিকুল ইসলাম এবং মহাব্যবস্থাপক একেএম নুরুজ্জামান। আরও বক্তব্য রাখেন ইউসিবি পিএলসি-এর ভাইস-চেয়ারম্যান ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডাইরেক্টর, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং সাবেক এমআরএ পরিচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং আম্বালা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. এনামুল হক।
কর্মশালায় সিডিএফ-এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, নীতিগত অগ্রাধিকার এবং সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির নানা দিক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
এসকে/আরআই