এইমাত্র
  • হাদি হত্যাচেষ্টা: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার
  • চট্টগ্রামে ঝুটের গুদামে ভয়াবহ আগুন
  • আজ মহান বিজয় দিবস
  • বিএনপির ৪ নেতা সুখবর পেলেন
  • ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার
  • দেশের বাজারে আবার বাড়ল সোনার দাম
  • হাদিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি
  • ইংল্যান্ড মাতাচ্ছেন আরেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ফুটবলার
  • জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি ভবনে তালা, শিক্ষকরা অবরুদ্ধ
  • ভোলায় বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ২০
  • আজ মঙ্গলবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ঝালকাঠির তরুণ উদ্যোক্তার সাফল্য: আম বাগানে ভাগ্য বদলের গল্প

    মো. নজরুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (ঝালকাঠি) প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম
    মো. নজরুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (ঝালকাঠি) প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম

    ঝালকাঠির তরুণ উদ্যোক্তার সাফল্য: আম বাগানে ভাগ্য বদলের গল্প

    মো. নজরুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (ঝালকাঠি) প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম

    ঝালকাঠির তরুণ উদ্যোক্তা মো. আজিজুল হক তার নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন একটি দৃষ্টিনন্দিত আম বাগান। যা আগামীতে স্থানীয় অর্থনীতিতে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। কৃষি ভিত্তিক এই উদ্যোগ শুধু তার নিজেরই নয়, আশেপাশের অনেক মানুষের জীবিকারও উৎস হয়ে উঠেছে।

    পড়াশুনা শেষ করে ঢাকায় চাকুরী করাবস্থায় ২০১৪ সালে নিজ এলাকায় কিছু করার চিন্তা থেকেই আজিজ শুরু করেন ফলদ বৃক্ষ রোপন। ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের পিংরি গ্রামে বাড়ির পাশে অল্প কিছু পতিত জমিতে বাগান করা শুরু করলেও বর্তমানে তার বাগানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ বিঘা। এতে রয়েছে ৫টি জাতের সুমিষ্ট উন্নত মানের আম।

    এই প্রতিবেদনটি তৈরি করতে বাগানে গেলে আজিজুল আমাদের ঘন্টা ব্যাপী তার পুরো বাগানটি ঘুরে ঘুরে দেখান। এ যেনো মনোমুগ্ধকর এক পরিবেশ। গাছে গাছে দুলছে হাড়িভাঙ্গা, অম্রপালী, হিমসাগর, কহিতোর ওবং কাঁচামিঠা জাতের আম। একই বাগানে একাংশে রয়েছে জাম, লিচু ও আমরা গাছ। বাগান জুড়ে ফলদ গাছতো আছেই একই সাথে মাছ চাষসহ হাঁস, মুরগী ও গরুর খামার প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন আজিজুল হক নামের এই উদ্দ্যোগতা।

    চলতি মৌসুমে তার বাগান থেকে কয়েক টন আম উৎপাদনের আশা আজিজের। ভবিষ্যতে অনলাইন ও অফলাইন বাজারের মাধ্যমে এই আম সরবরাহ করা হবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। এছাড়া তিনি স্থানীয় যুবকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকেও কৃষিতে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলছে চান।

    আজিজুল বলেন, শুরুটা সহজ ছিলোনা। প্রথম দুই/তিন লোকসান গুনতে হয়েছে। কিন্তু পরিবারের উৎসাহ, ধৈর্য্য আর পরিশ্রমই আজ আমাকে সফলতার অবস্থানে এনেছে।

    স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার মতে, এই ধরনের উদ্যোগ দেশের কৃষিখাতকে আরও শক্তিশালী করবে এবং যুবকদের কর্মসংস্থানের নতুন পথ খুলে দেবে। আজিজুলের গল্প প্রমাণ করে, ইচ্ছা আর পরিশ্রম থাকলে নিজ এলাকার মাটিতেই গড়া যায় সাফল্যের ভিত।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…