এইমাত্র
  • বিজয় দিবসে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
  • বলিউডের গুপ্তচর সিনেমা ভারত-পাকিস্তানে রাজনৈতিক ঝড় : আল জাজিরা
  • যে কারণে এতো দামে মুস্তাফিজকে দলে টানল কেকেআর
  • ভোলায় চেয়ারে বসা নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ, আহত ২০
  • ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে কলকাতায় মোস্তাফিজ
  • টরন্টোতে প্রদর্শিত হলো মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা ‘সাবিত্রী’
  • মুসলিম নারীর নিকাব টেনে খুলে ফেলায় সমালোচনার মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী
  • ‘নিরাপত্তা’র কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপি প্রার্থী
  • রেকর্ড দামে কলকাতায় ক্যামেরন গ্রিন
  • মহান মুক্তিযুদ্ধের নায়ক থেকে রূপালি পর্দায়
  • আজ মঙ্গলবার, ২ পৌষ, ১৪৩২ | ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
    শিক্ষাঙ্গন

    জবিতে তরুণদের মাঝে সংস্কৃতিচর্চা ছড়াতে আইআরডিসির নতুন উদ্যোগ

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৫ পিএম
    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৫ পিএম

    জবিতে তরুণদের মাঝে সংস্কৃতিচর্চা ছড়াতে আইআরডিসির নতুন উদ্যোগ

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৫ পিএম

    নববর্ষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ উপলক্ষ্যে বাংলা নববর্ষের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও উত্তরাধিকার তরুণ প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ইন্টারডিসিপ্লিনারি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট কনসোর্টিয়াম (আইআরডিসি) কর্তৃক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

    সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, সেমিনার বক্তা হিসেবে ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড.নাছির আহমাদ। সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.রইছ উদ্দিন ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড.ফজলে এলাহি চৌধুরী।

    এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন আইআরডিসির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন আইআরডিসির সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ তাজাম্মুল হক।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, আমি আইআরডিসি কে প্রথমেই ধন্যবাদ দিতে চাই। তাছাড়া মূল প্রাবন্ধিককেও ধন্যবাদ জানাতে চাই কারণ তিনি আজকের দিনের পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তার পুরো কথাগুলো সাজিয়ে তুলে ধরেছেন।বাংলা নববর্ষ সহ অন্যান্য উৎসব গুলোর মাধ্যমে আমরা যদি মানুষের যাপিত জীবনকে তুলে ধরতে পারি তাহলে একটা জনগোষ্ঠীকে তুলে ধরা সম্ভব হবে। এটা হবে বুদ্ধিভিত্তিক চর্চার অন্যতম একটি দিক।

    সেমিনারের প্রাবন্ধিক অধ্যাপক ড.নাছির আহমাদ বলেন, বাংলা সাল বা পহেলা বৈশাখ চালু হওয়ার মূল কারণ হলো ঐ সময়ের প্রতিকূলতা। ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ উৎসে আমরা যে ১৪ই এপ্রিলকে পহেলা বৈশাখ পালন করি এটা আসলে প্রথমথেকে পহেলা বৈশাখ ছিলো না।পরবর্তীতে বাংলা সাল গনণার জন্য নির্দিষ্ট একটি পন্থার প্রয়োজনীয়তা থেকে ১৯৬২ সালে বাংলা একাডেমি কর্তৃক ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।পরবর্তীতে ঐ কমিটির পরামর্শের ভিত্তিতে বাংলা মাস গণনার একটি কাঠামো তৈরী করা হয়।সেই গণনার ভিত্তিতে ১৯৯৫ সাল থেকে ১৪ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ পালন শুরু হয়।এভাবেই বাংলা একাডেমির ভূমিকায় কালের বিবর্তনের মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ চালু হয়।

    বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার এর আলোচনায় তিনি আরো বলেন, মুঘল আমল থেকে নববর্ষ মূলত অথর্নৈতিক ও ধর্মীয় দিককে প্রাধান্য দিয়ে এইটা পালন করা হতো। যেহেতু মুঘলরা ইরানি অঞ্চল থেকে এ অঞ্চলে এসেছিলো তৎকালীন সময়ে ইরানিরা নওরোজ নামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতো। সেইটার সাথে মিল রেখেই মুঘলরা এই নববর্ষে ধর্মীয় দিকগুলোকে পালন শুরু করে। পরবর্তীতে পাকিস্তানি আমল থেকে নববর্ষ একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে পরিণত হতে থাকে। এভাবেই কালের বিবর্তনে বাংলা নববর্ষ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর একটি সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়। এবং ১৯৮০-৮১ সালের দিক থেকে শুরু হয় পান্তা ইলিশের রীতি।

    উল্লেখ্য, সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারের সবশেষে আইআরডিসির সভাপতি অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আইআরডিসি কর্তৃক আয়োজিত এই ৫ম সেমিনারের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…