এইমাত্র
  • হাদিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি
  • ইংল্যান্ড মাতাচ্ছেন আরেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ফুটবলার
  • জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি ভবনে তালা, শিক্ষকরা অবরুদ্ধ
  • ভোলায় বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ২০
  • মাদারীপুরে নদী থেকে নারীর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
  • চুয়াডাঙ্গায় মাদকাসক্ত ছেলেকে আইনের হাতে তুলেন দিলেন বাবা
  • বাগদা চিংড়ির সুনাম রক্ষায় অ্যান্টিবায়োটিকমুক্ত উৎপাদন জরুরি: ফরিদা আখতার
  • চুয়াডাঙ্গায় ট্রলির ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
  • বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
  • কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ৫
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    উখিয়ায় টানা বৃষ্টিতে জনজীবন স্থবির

    এম ফেরদৌস, উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ০৪:৪৪ পিএম
    এম ফেরদৌস, উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ০৪:৪৪ পিএম

    উখিয়ায় টানা বৃষ্টিতে জনজীবন স্থবির

    এম ফেরদৌস, উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ০৪:৪৪ পিএম

    কক্সবাজার ও উখিয়ায় টানা চার দিনের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন গ্রামের নিম্নাঞ্চলগুলো। দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।

    দিনমজুর ছাড়াও সড়কে রিকশাচালক, সিএনজি চালকসহ নানা ধরনের যাত্রীবাহী গাড়ির ড্রাইভারদের হাহাকার দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, উখিয়া বাজার ও কোটবাজারের নানা ধরনের ব্যবসায়ীদের মাঝেও হতাশার ছায়া লক্ষ্য করা গেছে। প্রবল ভারী বর্ষণে মানুষের আয়-রোজগার সব বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে আবার অনেক এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে ঘরবন্দি হচ্ছে মানুষ। সব কিছু মিলিয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন।

    বুধবার (১৮ জুন) সকাল থেকে উখিয়া উপজেলার বড় বড় বাজার ও বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে ঘুরে এসব দৃশ্য দেখা যায়।

    কোটবাজারের সিএনজি চালক ওসমান নামে এক ব্যক্তি জানান, 'গাড়ি নিয়ে বের হই ঠিকই, কিন্তু সড়কে যাত্রী নেই। মানুষ বাড়ি থেকেই বের-ই হচ্ছে না। মানুষ বাড়ি থেকে বের না হলে যাত্রী পাব ক্যামনে। কিন্তু আমার সংসার চলে ভাড়ায় চালিত এই সিএনজি গাড়ি নিয়ে। প্রতিদিন বাজার করতে হয়। অন্তত দু-একদিন হলে কোনরকম চলা যায়। টানা ৫/৬ দিন অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে আমাদের।'

    দিনমজুর শাহাজাহান জানান, 'দুইদিন ধরে ঘরে বসে আছি। কাজকর্মে যেতে পারছি না। বৃষ্টি থামার চিহ্ন নেই। পরিবার পরিজন নিয়ে সমস্যায় পড়েছি।'

    অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে এসব এলাকার মানুষের দুর্ভোগ আরো বাড়তে পারে।

    রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী নুরুল হাকিম জানান, 'বৃষ্টি না হলে ভালো কাস্টমার পড়ে। বৃষ্টিতে বেচা-কিনা তেমন হয় না। বেচা কিনা হউক বা না হউক, কর্মচারীদের বেতন ও খাবারের আইটেম ঠিকই রাখতে হচ্ছে। ফলে অনেক খাবার নষ্ট হচ্ছে।'

    হকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, 'আজ ৪ দিন দোকান খুলতে পারছি না। এত পরিমাণ বৃষ্টি মালামালে পানি ঢুকার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দোকান না খুললেও নিয়মিত ভাড়ার টাকা দিতে হয়। কই টাকাই বা লাভ করি সেখানে অনেক খরচ। এতেও নিয়মিত দোকান করতে পারছি না। সব আল্লাহ'র রহমত।'

    এদিকে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছিল, 'আষাঢ়ের প্রথম দিন অর্থাৎ ১৪ই জুন থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হতে পারে। আগামী ২২ জুন পর্যন্ত এ বৃষ্টি ঝড়তে পারে।' আবহাওয়ার হিসাব অনুসারে জুন থেকে সেপ্টেম্বর— এ চার মাস বর্ষা মৌসুম হলেও বাংলা পঞ্জিকায় আষাঢ়-শ্রাবণকে বর্ষাকাল বলা হয়।

    সারাদেশের জুন মাসের গড় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ৪৫৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার, জুলাইয়ে ৫২৩ মিলিমিটার, অগাস্টে ৪২০ দশমিক ৪ মিলিমিটার এবং সেপ্টেম্বর মাসের গড় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ৩১৮ দশমিক ২ মিলিমিটার।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…