এইমাত্র
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় আরও ২ জন আটক
  • প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় উপদেষ্টার দপ্তরের নির্দেশে তদন্ত শুরু
  • সাবেক বিচারপতি মেজবাহ উদ্দিন মারা গেছেন
  • বাসভবন-কার্যালয় প্রস্তুত, সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন তারেক রহমান
  • ফটিকছড়িতে অবাধে কাটা হচ্ছে পাহাড়-টিলা-কৃষি জমি, হুমকিতে পরিবেশ
  • আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
  • মেসি-শচীনের ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ, উপহার বিনিময়
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় মামলা
  • হাবিবুরসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শুরু আজ
  • বাংলাদেশি শান্তিকর্মীদের ওপর হামলা, সুদানকে সতর্কবার্তা জাতিসংঘের
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    ফিচার

    একটি পরীক্ষা যেন তাদের জীবনে খারাপ প্রভাব না ফেলে: গুলতেকিন

    ফিচার ডেস্ক প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৫:০১ পিএম
    ফিচার ডেস্ক প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৫:০১ পিএম

    একটি পরীক্ষা যেন তাদের জীবনে খারাপ প্রভাব না ফেলে: গুলতেকিন

    ফিচার ডেস্ক প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৫:০১ পিএম
    ছবি: সংগৃহীত

    গুলতেকিন খান একজন লেখক, কবি ও নাট্যকার। তিনি কবি ও প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের প্রথম ও সাবেক স্ত্রী। আজ ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। তার সেই ফেলে আসা দিনগুলো স্মৃতিচারণ করে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন অভিভাবকদের।

    গুলতেকিন খানের জন্ম রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডিতে। আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি সম্পন্ন করার পর হলিক্রস কলেজে ভর্তি হন তিনি। কিন্তু পরীক্ষার তিন মাস আগে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ায় পরীক্ষা দেওয়া হয়নি।

    লম্বা বিরতির পর হুমায়ূন আহমেদের নানা বাড়ি মোহনগঞ্জের একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। এইচএসসি শেষ করে অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে ১৯৮৯ সালে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুরুতে সমাজ বিজ্ঞানে ভর্তি হলেও বিষয় পরিবর্তন করে ভর্তি হন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে।

    ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে ১৯৯৮ সালে স্কলাসটিকা স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন গুলতেকিন খান। এর আগে ১৯৭৩ সালে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে পাঁচ সন্তানের জননী তিনি।

    আমার বড় মেয়ে নোভা এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট জানতে আমাদের কাউকে সঙ্গে নেয়নি। বাসায় ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলি আর বলি, ‘আমার মেয়েটা এত বড় হয়ে গেছে! ম্যাট্রিক (আমাদের সময় এটাই বলা হতো) পাস করেছে!’

    শীলার সময়েও একই কথা বললাম। বিপাশা, আমার ছোট মেয়ের রেজাল্টের দিন আমি বাসায় ছিলাম না। রেজাল্ট বের হবে শুনেই বাসায় ফিরে এলাম। কলবেলের শব্দ শুনে আমিই দৌড়ে গিয়ে দরজা খুললাম। এবং সেবারও বিপাশাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললাম। আর বললাম, ‘আমার মেয়েটা এত বড় হয়ে গেছে, ম্যাট্রিক পাস করেছে!’

    কিছুক্ষণ পর শীলা কলেজ থেকে ফিরে আমাকে তার ঘরে নিয়ে ফিসফিস করে বলল, ‘তুমি কি ওকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছ? আর কী বলেছ ওকে?’

    আমি তো আর এসব মুখস্থ করে রাখিনি। যা মনে হয়েছে, তা–ই বলেছি। শীলা বলল, ‘বাঁচলাম!’

    আমি বলি, ‘কেন?’

    তখন সে বলল, ‘আমাদের দুজনকেই তো তুমি কাঁদতে কাঁদতে একই কথা বলেছ। ওর ধারণা, ওকে তুমি ভালোবাসো না। আর ওর রেজাল্টের পর যদি একই কথা না বলো তাহলে বিপাশার ধারণাই সত্যি হবে।’

    সে সময় আমরা ব্যক্তিগত কিছু সমস্যার মধ্যে ছিলাম। এমনিতেই বাসার পরিবেশ ভালো নেই। তার ওপর আবার বিপাশার এই ধারণা! ভাগ্যিস, তিনজনের এসএসসির রেজাল্টের পর একই কথা বলেছিলাম!

    শুধু মুখের কথার এদিক–সেদিক হতেই যদি এমন হয়, তাহলে পরীক্ষার ফল খারাপ হলে কী করত, কে জানে!

    আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দেশে এসএসসির রেজাল্ট বের হয়েছে। সবাই তো আর একইভাবে পরীক্ষা দেয়নি অথবা একই রেজাল্ট হবে না। এটা ওদের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। আমি হাতজোড় করে বলছি, আপনারা নিজেদের সন্তানদের একটু আদর–ভালোবাসা দিয়ে জড়িয়ে ধরুন! তাদের একটু সময় দিন, পছন্দের কোনো খাবার রান্না করুন অথবা যেখানে নিয়ে গেলে তাদের ভালো লাগবে, সেখানে নিয়ে যান।

    প্লিজ, বাইরের কারও সামনে তাদের কিছু বলবেন না, যা তাদের মনে আঘাত করবে। এই বয়সে তারা খুব অভিমানী হয়। তারা যেন ভুল করে বা ভুল বুঝে দূরে কোথাও চলে না যায়। একটি পরীক্ষা যেন তাদের জীবনে খারাপ প্রভাব না ফেলে।

    সব মা-বাবা, ভাই-বোন এবং অভিভাবককে বলছি, ওদের একটু সময় দিন। জড়িয়ে ধরে বলুন, ‘বাবা, আমরা পরেরবার আবার চেষ্টা করব!’

    এসকে/এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…