রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় গণপিটুনিতে নিহত রুপলাল দাসের ছেলে জয় দাস আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আবারও স্কুলে ফিরছে।
সে তারাগঞ্জ ও/এ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী।
বাবার মৃত্যুর পর সংসারের বোঝা কাঁধে নিয়ে বাবার পেশাকে বেছে নিয়ে পুরাতন জুতা সেলাইয়ের কাজে বসতেন জয় দাস। বিষয়টি নিয়ে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন গণমাধ্যম 'সময়ের কণ্ঠস্বর'-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে দেশের বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তির নজরে আসে তাঁর করুণ পরিণতির সংবাদ। এরপর সকলের সহযোগিতা পেয়ে স্কুলে যেতে শুরু করেছে জয় দাস।
জয় দাসের সহপাঠী লাওহে মাহফুজ বলেন, 'জয় দাস মেধাবী ছেলে। ও স্কুলে আসায় আমরা সবাই খুশি হয়েছি। সে পড়াশোনা করে ওর স্বপ্ন পূরণ করুক। বাবাহারা হয়ে খুব কষ্ট করে চলছে জয়ের পরিবার। সমাজের বিত্তবানদের উচিত আরও তাঁর পরিবারকে সহযোগিতা করা। সে আমাদের সকল সহপাঠীদের বলছে সে আইনজীবী হতে চায়। আমি চাই তাঁর স্বপ্ন পূরণ হোক।'
জয় দাসের পার্শ্ববর্তী দোকানদার সেতু মিয়া বলেন, 'জয় পড়াশোনা করতে চায়। তাঁর পড়াশোনায় আগ্রহ রয়েছে। সে আইনজীবী হতে চায়। তাঁর বাবা খুব ভালো মানুষ ছিলেন। সে স্কুলে ফেরায় আমি খুব খুশি হয়েছি।'
জয় দাস বলেন, 'আমি আইনজীবী হতে চাই। সকলের সহযোগিতা পেলে আমি আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবো। আমার বাবাও চাইতো আমি পড়াশোনা করে জীবনে বড় হই। কিন্তু আমার বাবাকে একদল লোক পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি আইনজীবী হয়ে বিচার আনব বাবার জন্য।
তারাগঞ্জ ও/এ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু মুসা বলেন, 'ও স্কুলে আসায় আমরা খুব খুশি হয়েছি। ওকে সবদিক থেকে সহযোগিতা করা হবে।'
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বুড়ীরহাট এলাকার বটতলা নামক স্থানে ভ্যান চোর সন্দেহে দুজনকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে কতিপয় স্থানীয় লোকজন। এতে ঘটনাস্থলেই রুপলাল দাসের মৃত্যু হয় ও পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রমেক হাসপাতালে মারা যান প্রদীপ দাস।
এসআর