এইমাত্র
  • সাবেক বিচারপতি মেজবাহ উদ্দিনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অর্ধবেলা বন্ধ সুপ্রিম কোর্ট
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় আরও ২ জন আটক
  • প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় উপদেষ্টার দপ্তরের নির্দেশে তদন্ত শুরু
  • সাবেক বিচারপতি মেজবাহ উদ্দিন মারা গেছেন
  • বাসভবন-কার্যালয় প্রস্তুত, সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন তারেক রহমান
  • ফটিকছড়িতে অবাধে কাটা হচ্ছে পাহাড়-টিলা-কৃষি জমি, হুমকিতে পরিবেশ
  • আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
  • মেসি-শচীনের ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ, উপহার বিনিময়
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় মামলা
  • হাবিবুরসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শুরু আজ
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    ধর্ম ও জীবন

    নাম রাখার ক্ষেত্রে যে ভুলগুলো কখনোই করবেন না

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৪ পিএম
    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৪ পিএম

    নাম রাখার ক্ষেত্রে যে ভুলগুলো কখনোই করবেন না

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৪ পিএম
    ছবি: সংগৃহীত

    মানুষের জীবনে এমন কিছু জিনিস আছে, যেগুলোর প্রভাব সে প্রতিদিন অনুভব করে; তবে কখনো খুব একটা গুরুত্ব দিয়ে তা ভাবে না। এর মধ্যে একটি হলো নিজের নাম। প্রতিদিন, প্রতিটি মুহূর্তে মানুষ তার নাম শুনে, নামে সাড়া দেয়। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এই নামই তাকে পরিচিত করে তোলে। এমনকি মৃত্যুর পরও নামটিই রয়ে যায়, মানুষ তার নামেই তাকে স্মরণ করে।

    আর শান্তি ও মানবতার ধর্ম ইসলামে নামের গুরুত্ব শুধু সামাজিক পরিচয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি আখিরাতের সঙ্গেও সম্পৃক্ত। হাদিসে বলা হয়েছে, কেয়ামতের দিন মানুষকে তার নাম ও পিতার নাম ধরে ডাকা হবে (আবু দাউদ)। ফলে, শিশুর নামকরণ কোনো সাধারণ বিষয় নয়; বরং এটি একটি ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব।

    আধুনিক সময়ে অনেকেই না বুঝে বা ভুল ধারণায় এমন কিছু নাম সন্তানের জন্য বেছে নেন, যেগুলো ইসলামের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়; এমনকি এগুলো কখনো ভয়াবহ বিপদের কারণ হতে পারে।

    বোখারি শরিফের বরাত দিয়ে প্রখ্যাত ইসলামি স্কলার শায়খ মামুনুল হক তার নিয়মিত লাইভ প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে জানান, প্রসিদ্ধ তাবেয়ি হজরত সাইদ ইবনুল মুসাইয়্যিব (রাহি.) বলেন, আমার দাদা রাসুল (সা.)-এর দরবারে গেলে নবীজি (সা.) তাকে জিজ্ঞেস করেন, 'তোমার নাম কী?' তিনি বলেন, 'আমার নাম হাযান' (আরবিতে এই নামের অর্থ হলো দুঃখ, কষ্ট, ক্লেশ)। তখন নবীজি (সা.) তাকে বললেন, 'না, তোমার নাম সাহাল' (আরবিতে এই নামের অর্থ হলো সহজ-সরল)। কিন্তু হাযান বললেন, 'আমার বাবা আমার যে নাম রেখেছেন সেই নামটি আমি পরিবর্তন করতে চাই না।' তাই এ কথা শুনে নবীজি (সা.) চুপ থাকলেন এবং তার নাম হাযান থেকে গেল।

    এ প্রসঙ্গে হাযানের নাতি সাইদ ইবনুল মুসাইয়্যিব বলেন, 'তারপর থেকে আমার দাদা, আমার বাবা এবং আমাদের বংশে সেই কষ্ট-ক্লেশের প্রভাব এখন পর্যন্ত রয়ে গেছে।'

    মামুনুল হক জানান, মুসলিম শরিফের এক হাদিসে এসেছে, জয়নব বিনতে আবি সালামা বলেন, 'আমার নাম ছিল বাররা।' এই নামের অর্থ হলো একদম পুতপবিত্র। নবীজি (সা.) এ নাম শুনে বললেন, 'তোমরা নিজেদের পবিত্রতা নিজেরাই বর্ণনা করো না। তোমাদের মধ্যে থেকে কারা আসলে পবিত্র, সেই কথা কেবল আল্লাহই ভালো জানেন।'

    এ সময় রাসুলকে (সা.) জিজ্ঞেস করা হলো, 'তাহলে আমরা এই মেয়ের নাম কী রাখব?' উত্তরে তিনি (সা.) বলেন, 'তার নাম রাখো জয়নব।'

    উল্লিখিত হাদিসের আলোকে শায়খ মামুনুল হক বলেন, যেসব নামের অর্থ কষ্ট-ক্লেশ হয় বা যেসব নামের দ্বারা অহংকার কিংবা কোনো অপছন্দনীয় বিষয় ফুটে ওঠে, সেগুলো পরিহার করতে হবে। কারণ, নামের প্রভাব শুধু ব্যক্তি নয়, বরং তার বংশ পর্যন্ত বিস্তার লাভ করতে পারে। তাই সুন্দর অর্থবহ ইসলামি নাম রাখতে হবে।

    নাম রাখার ক্ষেত্রে ভুল করা যাবে না উল্লেখ করে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, অনেকে সন্তানের নাম আব্দুস সাত্তার বা এ জাতীয় নাম রাখতে চান না। তারা মনে করেন, এরকম নাম রাখলে একটু খেত বা বয়স্ক মনে হয়। তাই তারা আনকমন নাম রাখতে গিয়ে টাল্টু, বল্টু, স্ক্রু ইত্যাদি নাম রাখেন।

    নামের অর্থের প্রভাব ব্যক্তির ওপর পড়ে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'আপনি যদি টাল্টু নাম রাখেন, তবে সে টল্টুর মতো লাফাতেই পারে।' কাজেই সন্তানের সুন্দর অর্থবহ ইসলামি নাম রাখা পিতা-মাতার কর্তব্য।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…