কক্সবাজার টেকনাফে বিজিবি সদস্যরা গহীন পাহাড়ে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে ডাকাত দলের একটি গোপন আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ দেশী-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, মর্টারের শেল, হ্যান্ড গ্রেনেড ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। তবে এ সময় সশস্ত্র ডাকাত দলের কোনো সদস্যকে আটক করা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে উখিয়া ও আংশিক টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় দায়িত্বরত ৬৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জসীম উদ্দিন সময়ের কণ্ঠস্বরকে প্রেস বার্তার মাধ্যমে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের তথ্য ভিত্তিতে গত বুধবার গভীর রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলা হ্নীলা ইউনিয়নের অন্তর্গত রঙ্গীখালী এলাকা সংলগ্ন গহীন পাহাড়ে বেশ কয়েক দফায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। একপর্যায়ে বিজিবি জানতে পারে যে গহীন পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা সশস্ত্র ডাকাত দলের একটি গ্রুপ অবস্থান করছে। সেই তথ্যটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিজিবির তিন চৌকশ দল তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পাহাড়ের বেশ কয়েকটি পয়েন্ট কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করার পর গহীন পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা ডাকাত দলের একটি অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘এরপর বিজিবি সদস্যরা এলাকাটি ঘিরে ফেললে ডাকাত দলের সদস্যরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি বর্ষণ শুরু করে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে ডাকাত দলের সদস্যরা তাদের গোপন আস্তানার ঘাঁটি ত্যাগ করে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের দিকে কৌশলে পালিয়ে যায়।’
কাউকে আটক করতে না পারলেও বিজিবির অভিযানিক দল ডাকাত দলের আস্তানাটি তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদের চালানটি উদ্ধার করা গেছে বলেও জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।
উদ্ধার মালামালের মধ্যে রয়েছে, ১টি জি-৩ রাইফেল, জি-৩ রাইফেলের অংশবিশেষ ১টি ম্যাগাজিন, ৪টি ওয়ান শুটার গান, ১টি এলজি শুটার গান, ১টি এমএ-১ (ভ্যারিয়েন্ট এমকে-২), ১টি একনলা গাদা বন্দুক (লং ব্যারেল), ২টি সিলিং, ৩টি আরজেস হ্যান্ড গ্রেনেড (লিভারসহ), ১টি মর্টার শেলের গোলা, ১৭ কেজি গান পাউডার, ১০টি হাতবোমা তৈরির সরঞ্জাম, ৮টি চাপাতি, ৫টি ছুরি, ১টি কাঁচি এবং ৩০২টি গুলি।
এ ছাড়া বিভিন্ন অস্ত্রে ব্যবহার করা ৫৪টি গুলির খালি খোসাও উদ্ধার করা হয়েছে।
ইখা