ব্রাজিলের সাবেক তারকা ফুটবলার ডেভিড লুইজের বিরুদ্ধে এক নারীকে গুমের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে অভিযোগ করার পর আদালত অভিযোগকারী নারীর জন্য সুরক্ষা আদেশ দিয়েছেন, যাতে লুইজ তাঁর আশপাশে না যেতে পারেন।
অভিযোগকারী নারীর দাবি, ফোর্তালেজায় থাকার সময় লুইজের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং সেই সময়ই ইনস্টাগ্রামে ভয়ভীতির শিকার হন তিনি।
ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম জিওয়ান জানিয়েছে, অভিযোগকারী নারী ফ্রান্সিসকা ক্যারোলাইন বারবারোসা নামের এক সমাজকর্মী। তিনি সেয়ারা প্রদেশের সেনাদর পম্পেউ শহরে বসবাস করেন। এছাড়াও তার একটি সন্তান আছে।
সম্প্রতি লুইজ ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফোর্তালেজা ছেড়ে সাইপ্রাসের একটি ক্লাবে যোগ দিয়েছেন। অভিযোগকারী নারী পুলিশকে জানান, ফোর্তালেজায় থাকার সময় তাঁর সঙ্গে লুইজের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এবং সে সময় তিনি বিভিন্নভাবে হুমকির মুখে পড়েন। পরদিনই তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন এবং নিরাপত্তার আবেদন করেন। বুধবার, সেয়ারা রাজ্যের একটি আদালত লুইজকে নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকার আদেশ দেয় এবং স্থানীয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়।
ভুক্তভোগীর আইনজীবী ফ্যাবিয়ানো টাভোরা জানান, তার মক্কেল লুইজের খরচে ফোর্তালেজায় গিয়েছিলেন এবং দুজনের মধ্যে ইনস্টাগ্রামে কথোপকথন চলত। সেখানেই হুমকির বার্তা পাঠানো হয় বলে দাবি করা হয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী একটি বার্তায় লুইজ লেখেন, ‘তুমি জানো, আমার কাছে টাকা আর ক্ষমতা আছে। চালাকি কোরো না। তোমার কাজের মাশুল তোমার ছেলেকে দিতে হতে পারে।’
আরেকটিতে বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি চাইলে তোমাকে অদৃশ্য করে দিতে পারি। আমার লোকেরা জানে, এখন তুমি কোথায় আছো। আর আমার কিছুই হবে না।’
আইনজীবীর ভাষ্য অনুযায়ী, বারবারোসা এ ধরনের বার্তার পর নিজের জীবনের জন্য আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং ২০১০ সালে ব্রুনো ফার্নান্দেস ডি সুজার বিরুদ্ধে ওঠা এলিজা সামুদিওর অপহরণ ও হত্যার ঘটনা তার মনে পড়ে যায়। ফলে, দ্রুত সুরক্ষা আদেশের প্রয়োজন দেখা দেয়।
এ বিষয়ে লুইজের পিআর টিম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মামলাটি বিচারিক গোপনীয়তার আওতায় থাকায় লুইজ এখনই কোনো মন্তব্য করবেন না। তবে তিনি সত্য উদঘাটনের বিষয়ে আস্থা রাখছেন এবং আইনানুগ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই বিষয়টি সমাধান হবে বলে বিশ্বাস করেন।
আরডি