এইমাত্র
  • খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠে কোরআন খতম ও দোয়া
  • স্টেডিয়ামের পাশ থেকে প্রায় ৫শ ব্যাগে মানুষের দেহাবশেষ উদ্ধার
  • নভেম্বর মাসের সেরার তালিকায় তাইজুল
  • ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য বিএনপি প্রস্তুত: রুহুল কবির রিজভী
  • নান্দাইলে দুই বছর ধরে বন্ধ সৈয়দগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিক
  • খালেদা জিয়া সবার হৃদয়ের অন্তঃস্থলে স্থান করে নিয়েছেন: জবি উপাচার্য
  • জবি সংস্কার আন্দোলন থেকে জকসু নির্বাচনে নওশীন
  • নরসিংদীতে জাল নোটসহ দুইজন আটক
  • কটিয়াদীতে নিখোঁজ রিকশাচালকের লাশ উদ্ধার
  • গ্রেপ্তার ইউনুচের রিমান্ড চায় পুলিশ
  • আজ শুক্রবার, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    যশোরে পোষা কুকুর-বিড়ালে আক্রান্ত বাড়ছে, টিকা সংকট

    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২৫ এএম
    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২৫ এএম

    যশোরে পোষা কুকুর-বিড়ালে আক্রান্ত বাড়ছে, টিকা সংকট

    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২৫ এএম

    যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে জলাতঙ্কের টিকার মারাত্মক সংকট চলছে। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের জন্য ৫ হাজার টিকার চাহিদাপত্র জমা দেয়া হলেও বরাদ্দ মিলেছে মাত্র ৫০০। আগামী ৭/৮ ডিসেম্বরের মধ্যে হাসপাতালে জলাতঙ্কের টিকা শূন্য হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে ফার্মেসি থেকে উচ্চমূল্যে অ্যান্টি র‌্যাবিস ও র‌্যাবিস ইমিউনোগ্লোবুলিন টিকা কিনে সেবা নিতে হবে। হাসপাতালের কর্মকর্তারা বলছেন, নভেম্বর মাসে কুকুর ও বিড়ালের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে টিকা নিয়েছেন ২ হাজার ১৫০ জন। পোষা কুকুর-বিড়ালের কামড়ে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।

    জানা গেছে, যশোর শহর ও সদর উপজেলায় কুকুর বিড়ালের কামড়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। প্রতিদিন শতাধিক নারী পুরুষ ও শিশু কামড়ের শিকার হয়ে টিকা দিতে হাসপাতালে আসেন। কিন্তু মাসের প্রথম সপ্তাহে টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় মানুষ বিনামূল্যে টিকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন। হাসপাতালে ভ্যাকসিন না পেয়ে বাইরে থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে আক্রান্তদের।

    হাসপাতালের এম টি ইপি আই নুরুল হক জানান, কুকুর ও বিড়ালের কামড়ের শিকার হয়ে প্রতিদিন ৮০ থেকে ৯০ জন হাসপাতালে টিকা নিতে আসেন। জলাতঙ্কের টিকা সাধারণত তিনটি ডোজে অর্ন্তভুক্ত হয়। প্রথম ডোজ কামড়ের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দিতে হবে। দ্বিতীয় ডোজ ৭ দিনে ও ৩য় ডোজ ২১ অথবা ২৪ দিনে দিতে হয়। প্রতি ভায়াল একদিনে আক্রান্ত ৪ জনকে দেয়া সম্ভব।

    তিনি আরও জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসে ১৬শ’, অক্টোবর মাসে ২ হাজার ১শ’ ও নভেম্বর মাসে ২ হাজার ১৫০ জন হাসপাতাল থেকে জলাতঙ্কের টিকা গ্রহণ করেছেন। রোগীদের বেশির ভাগ পোষা বিড়াল ও কুকুরের কামড়ের শিকার হয়েছেন। কামড়ের পর কেউ কেউ বিড়াল নিয়ে টিকা কেন্দ্রে হাজির হচ্ছেন।

    হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, গত নভেম্বর মাসের জন্য জলাতঙ্কের টিকার চাহিদা পাঠানো হয়েছিল ৫ হাজার। বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৪শ’। ওই মাসে ৯ দিনে টিকা শেষ হয়ে যায়। ডিসেম্বর মাসে ৫০০ হাজারের চাহিদাপত্রের বিপরীতে বরাদ্দ মেলে ৫শ’। রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে টিকা শেষ হয়ে যাবে। অর্থাৎ আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে বিনামূল্যের জলাতঙ্ক টিকা না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

    ইখা

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…