এইমাত্র
  • কিছুটা ‍কমেছে সবজির দাম, চড়া তেল-পেঁয়াজ
  • মুক্ত হয় উত্তর-পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা
  • ঝিনাইদহে নসিমন চালককে কুপিয়ে হত্যা
  • দেশে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আভাস
  • যশোরে পোষা কুকুর-বিড়ালে আক্রান্ত বাড়ছে, টিকা সংকট
  • সব ঠিক থাকলে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়া হবে রোববার
  • নওগাঁয় মাদকসহ ১ জন গ্রেপ্তার
  • বিএনপির মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে অগ্নিসংযোগ-বিক্ষোভ-সড়ক অবরোধ
  • নোয়াখালী প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া
  • ঢাকার পথে ডা. জুবাইদা রহমান
  • আজ শুক্রবার, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    জাতীয়

    ৭১-এর এই দিনে

    মুক্ত হয় উত্তর-পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৫ এএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৫ এএম

    মুক্ত হয় উত্তর-পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৫ এএম

    মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের ৫ তারিখ আজ। ১৯৭১ সালের এইদিনে মুক্ত হয় মৌলভীবাজারের জুড়ী ও কমলগঞ্জ, উত্তরবঙ্গের পীরগঞ্জ, হাতিবান্ধা, পচাগড়, বোদা, ফুলবাড়ী, বীরগঞ্জ ও নবাবগঞ্জ। আর জীবননগর, দর্শনা ও কোটচাঁদপুরে পাক হানাদার বাহিনী মিত্রবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে টিকতে না পেরে আত্মসমর্পণ করে।

    জানা গেছে, মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা ১৯৭১ সালের ৫ই ডিসেম্বর হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয়েছিল। ৭১ সালের ১ ও ২ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ৪ নম্বর সেক্টরের রানীবাড়ী সাব-সেক্টরের অধীনে থাকা সব ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধা একসঙ্গে দেশের ভেতরে প্রবেশের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় ভারতের বাগপাশা থেকে অগ্রসর হয়ে রাঘনা নামক স্থানে ভারত-বাংলাদেশের সীমানা নির্ধারণকারী জুড়ী নদীর ওপর অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করেন তারা। এই সেতু দিয়েই বাংলাদেশে প্রবেশ করে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী। পরে তারা সীমান্তবর্তী ফুলতলা ইউনিয়নের ফুলতলা বাজার বিনা বাধায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে ফিরে পান।

    রাতের মধ্যেই পাশের সাগরনাল ইউনিয়নে থাকা পাক বাহিনীর অবস্থানও মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে। সেখানে মুক্তিবাহিনীর ক্যাপ্টেন সুখ লালসহ কিছু সংখ্যক সৈন্য রয়ে যান। বাকিরা জুড়ীর দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। রত্না চা বাগানের কাছে পৌঁছালে পাকিস্তানী বাহিনীর কাছ থেকে বাধা পান তারা।

    সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা গুলি বিনিময় হয়। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল বিক্রমের সামনে তিক্তে না পেরে পাকিস্তানী বাহিনী পিছু হটে এবং কাপনাপাহাড় চা বাগানের দিকে চলে যায়। যৌথ বাহিনীও এখানে অবস্থান নেয়।

    পরদিন দিনভর পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে প্রচন্ড যুদ্ধ চলে মুক্তিবাহিনীর। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন হতাহত হয়। কিন্তু এবার পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নিজেদের অবস্থান ছেড়ে জুড়ীর দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

    কাপনাপাহাড় থেকে যৌথবাহিনীর সৈন্যরা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে একদল কুলাউড়া শত্রুমুক্ত করার উদ্দেশ্যে গাজীপুর চা বাগানের রাস্তা ধরে কুলাউড়ার দিকে অগ্রসর হতে থাকে।

    অপর দল জুড়ীর দিকে এগিয়ে যায়। পরদিন ৪ ডিসেম্বর ভারতের কুম্ভিগ্রাম বিমানবন্দর থেকে কয়েকটি যুদ্ধ বিমান যৌথবাহিনীর সমর্থনে এসে জুড়ী ও কুলাউড়াতে শে করে। বিমান বাহিনীর শেলিংয়ের মুখে জুড়ীতে অবস্থানরত পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর পক্ষে অবস্থান ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তারা রণে ভঙ্গ দিয়ে ঐদিন রাতেই পালিয়ে যায়। শত্রুমুক্ত হয় জুড়ী উপজেলা। মুক্তিযোদ্ধারা লাল-সবুজ পতাকা হাতে নিয়ে শহরে প্রবেশ করেন। জয়বাংলা শ্লোগানে মুখরিত হয় চারপাশ।

    উল্লেখ্য যে, ১৯৭১ সালের এই দিনে, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের কামুদপুরে পাক সেনাদের সঙ্গে এক সম্মুখ যুদ্ধে ৮ম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৪ সদস্য শহিদ হয়েছিলেন।

    এদিকে, স্বাধীনতার উষালগ্নে ১৯৭১ সালের এই দিনে মৌলভীবাজার জেলার সীমান্তবর্তী কমলগঞ্জ উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়েছিলো। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীর সাড়াঁশি অভিযানের মুখে বিপর্যস্ত হয়ে কমলগঞ্জের দখলদারিত্ব ছেড়ে পালিয়ে যায় পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী।

    ইখা

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…