রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের অমরপুর গ্রামের ৭৫ বছর বয়সী আছমত আলী রাতের পর রাত পায়ের পঁচা ঘায়ের যন্ত্রণার সঙ্গে লড়ায় করছেন। একসময় শক্তসমর্থ মানুষটি এখন হাঁটতে পারেন না, দাঁড়িয়েও থাকতে পারেন না। ৭ বছর আগে বৃষ্টির পানিতে পড়ে কোমরে আঘাত পাওয়ার পর থেকেই তাঁর শরীরের অবস্থা অবনতি হতে থাকে। এখন দিনদিন তাঁর যন্ত্রণা আরও বেড়ে চলেছে।
সম্প্রতি হঠাৎ ডান পা ফুলে গিয়ে পঁচা ঘা তৈরি হয়েছে, সেখানে অসহ্য ব্যথা ও চুলকানি নিয়ে প্রতিদিনই দুঃসহ যন্ত্রণা সহ্য করছেন তিনি। চিকিৎসার প্রয়োজন অত্যন্ত জরুরি, কিন্তু টাকার অভাবে তিনি উন্নত চিকিৎসা নিতে পারছেন না। স্থানীয় কবিরাজের কাছে কম খরচে চিকিৎসা নিলেও কোনো উন্নতি নেই, বরং দিনদিন ঘা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।
আছমত আলীর বাড়িতে স্ত্রী ছাড়া আর কেউ তাকে দেখাশোনা করতে পারেন না।
স্ত্রী আম্বিয়া বেগম বলেন, আমার স্বামী ৭ বছর ধরে খুব কষ্টে চলাফেরা করতো। কিন্তু এই ঘা হওয়ার পর থেকে ভাঙা ক্যাচার আর আমার সহযোগিতা ছারা চলতে পারে না। মাঝে মাঝে ব্যথায় এমন চিল্লানি দেয় যে মনে হয় এখনই শেষ হয়ে যাবে। ডাক্তার দেখাতে পারছি না শুধু টাকার অভাবে। প্রয়োজন সবার সহযোগিতা।
আছমতের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে, মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। বড় ছেলেরা আলাদা সংসার নিয়ে ব্যস্ত। অসহায় বাবাকে দেখাশোনা করেন ছোট ছেলে আনারুল, যিনি পেশায় ভ্যান চালক। নিজের তিন সন্তানসহ সংসারের বোঝা সামলানোই তার জন্য কঠিন; বাবার ব্যয়বহুল চিকিৎসা চালানো তার পক্ষে প্রায় অসম্ভব।
আছমত আলী ভাঙা কণ্ঠে বলেন, আমি আর সহ্য করতে পারছি না। কেউ যদি আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতো বা টাকা দিতো, আমার একটু কষ্ট কমতো। আমাকে বাঁচানোর জন্য সবাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।
দীর্ঘদিন ধরে অচল হয়ে পড়া আছমত আলীর চিকিৎসা এখন সময়ের দাবি। তাঁর পরিবারের পক্ষে আর এক মুহূর্তও চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই সমাজের বিত্তবান, মানবপ্রেমী ব্যক্তি ও দয়ালু মানুষের সাহায্য কামনা করছে পরিবারটি।
সহায়তা পাঠাতে বা বিস্তারিত জানতে যোগাযোগঃ আছমত আলীর ছোট ছেলে- আনারুল, 01324461709 (নগদ/বিকাশ)
একটি ছোট সাহায্যও হয়তো বাঁচিয়ে দিতে পারে এই বৃদ্ধ পিতার জীবন। মানবিক কারণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান- "মানুষ মানুষের জন্য।
এসআর