কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক সপ্তাহ ধরে পড়ছে ঘন কুয়াশা। সেই সাথে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। কুয়াশার সাথে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় সন্ধ্যার পর থেকে সকাল অব্দি অনুভূত হচ্ছে ঠান্ডা। এতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। বিশেষ করে কষ্ট বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষজনের।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানিয়েছে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উপজেলার ধরলা ও বারোমাসিয়াসহ নদনদীর তীরবর্তী প্রায় শতাধিক চরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষজনের ভোগান্তি বেড়েছে। এসব চরের অধিকাংশই তীব্র শীত হওয়ায় হিমেল বাতাসে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন এ সব এলাকার মানুষ।
উপজেলার চরগুলোকে শীতের তীব্রতা কয়েক গুণ বেশি। এরমধ্যে বৃদ্ধ, শিশু ও দিনমজুররা বেশি বিপাকে পড়েছেন। শীতের কারণে দিনমজুরদের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে কষ্টে দিন কাটছে তাদের।
ধরলার পাড়ের হামিদুল ইসলাম ও বারোমাসিয়া নদী পাড়ের আজিবর রহমান বলেন, আমরা গরীব মানুষ। ঘরে পরার মতো মোটা কাপড় নাই। রাতে ঘুমাইতে গেলে ঠান্ডায় শরীর জমে যায়’।
শিক্ষার্থী শুভশ্রী রায় ও অনুরাধা জানান,শীতের কারণে আমাদের পড়াশোনা করতে সমস্যা হচ্ছে। সকালে স্কুল যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজকের সকালের তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশা পড়ার সাথে দিন দিন তাপমাত্রা কমে শীতের তীব্রতা বাড়বে এ জেলায়। জেলায় তাপমাত্রা গড়ে ১২ থেকে ১৫ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ঘন্টায় ১০ হতে ১৪ কিলোমিটার বাতাসের বেগ বিরাজ করছে।
এসআর