কুড়িগ্রামে কয়েকদিনে শীত ও ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। এতে করে সাধারণ মানুষরা পরেছেন বিপাকে।
বৃহস্পতিবার (১১ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
রাত থেকে সকাল পর্যন্ত শীতল বাতাসে বাড়ছে কাঁপুনি। দিনের বেলায় সূর্যের আলো থাকলেও মিলছে না সেই কাঙ্ক্ষিত উষ্ণতা। ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে কষ্ট বেড়েছে চরাঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর।
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের কলেজ পাড়া এলাকার আলামিন মিয়া, জসিম উদ্দিন ও আব্দুল জলিলসহ অনেকেই বলেন, শীতের তীব্রতায় কুড়িগ্রামে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া দিনমজুররা পরেছেন বিপাকে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রপুর ইউনিয়নের দিনমজুর আকবার হোসেন (৫৫) বলেন,শীতের কারণে সকালে কাজে যাইতে দেরি হয়। ঠান্ডায় হাত-পা চলতে চায় না, তবু কাজ না করে উপায় নাই।পেট তো চলে লাগবে।
নাগেশ্বরী উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়নের জাহিদুল ইসলাম বলেন, এবার ঠান্ডা অনেক বেড়েছে। ছেলে মেয়ে নিয়ে খুবই কষ্টে আছি। এখনো কেউ কম্বল দেয় নাই।
একই এলাকার হামিদুল ইসলাম বলেন, ঠান্ডায় কাজ করলে হাত-পা জ্বালা করে। ঠিকমতো কাজ করতে পারি না।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে আসা রবিউল ইসলাম বলেন, আমার ছেলের কয়েক থাকি জ্বর সর্দি ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসেছি।
তবে কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. স্বপ্নন কুমার বিশ্বাস বলেন, জেলায় শীতজনিত রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা এখনও তেমন বাড়েনি। এরপরও বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিদিন যে রোগীরা আসছেন তারা আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক অন্নপূর্ণা দেবনাথ জানান, শীতবস্ত্র বিতরণের তালিকা তৈরি হয়েছে। খুব দ্রুত জেলার শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ শুরু হবে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় জেলায় সবনিম্ন তাপমাত্রা ১০দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। কুয়াশা পড়ার সাথে দিন দিন তাপমাত্রা কমে আসবে।
এসআর