দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরের কেমিক্যাল শেডে রাখা পণ্য দ্রুত অপসারণ এবং রাসায়নিক দ্রব্যের নিরাপদ ব্যবস্থাপনার জন্য কঠোর ৭ নির্দেশনা বাস্তবায়নের আদেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) ও উপসচিব মো. শামীম হোসেন সাক্ষরিত একটি পত্রের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বেনাপোল স্থলবন্দরের কেমিক্যাল শেডগুলোতে সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে যে সকল ব্যবস্থাসমূহ বাস্তবায়ন করার আদেশ প্রদান করা হয় যথা
১। কেমিক্যাল শেডগুলোতে সংরক্ষিত নিলামযোগ্য মেয়াদোত্তীর্ণ ও পরিত্যক্ত কেমিক্যাল পণ্য দ্রুত অপসারণ করা।
২। কেমিক্যাল শেডগুলোতে পণ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে স্টোরেজ নীতিমালা ও সেফটি ডাটাশিট গাইডলাইন অনুসরণ করা।
৩। ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারদের যত্রতত্র রান্না না করতে দিয়ে রান্নার জন্য নির্দিষ্ট এলাকা নির্ধারণ করা।
৪) কেমিক্যাল শেডসহ বন্দরের সকল শেড/ইয়ার্ড এলাকায় প্রত্যেককে নিরাপত্তা গেইটে চেকিংপূর্বক অগ্নিপ্রজ্বালনে সহায়ক লাইটার, ম্যাচ বক্স, দেয়াশলাই ইত্যাদি নিয়ে বন্দরে প্রবেশ করতে না দেয়া। নিষেধ সত্ত্বেও কেউ বন্দর এলাকায় ধুমপান/রান্না করলে তাকে আইনের আওতায় আনা।
৫) কেমিক্যাল শেড (শেড ৩২-৩৫) এলাকা ও টিটিআই ইয়ার্ডে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা। সংশ্লিষ্ট নয় এমন কারও বন্দরে প্রবেশ বন্ধে কঠোর ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৬) কেমিক্যাল শেড (শেড নম্বর ৩২-৩৫) এলাকায় ৭ সদস্য বিশিষ্ট (আনসার-৪ ও নিরাপত্তাকর্মী-৩ জন) এবং টিটিআই ইয়ার্ডে ৫ সদস্যের (আনসার-৩ ও নিরাপত্তাকর্মী-২ জন) যৌথ টহল টিম গঠনপূর্বক সার্বক্ষণিক টহল প্রদান।
৭) ফায়ার শাখা কর্তৃক বন্দরের সকল এলাকা নিয়মিতভাবে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং যৌথ টহল টিমকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে হবে।
বন্দর সূত্র ও আলোচিত পত্র থেকে জানা যায়, গত ১৫ ডিসেম্বর-২০২৫ তারিখের স্মারকে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের একটি পত্রের নির্দেশনায় বেনাপোল স্থলবন্দরের কেমিক্যাল শেডের সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি প্রসঙ্গে এ আদেশ জারি করা হয়।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) ও উপসচিব মো. শামীম হোসেন।
আরডি