কুড়িগ্রামে হিমেল হাওয়ার দাপটে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। তাপমাত্রা ক্রমাগত কমতে থাকায় জেলার জনজীবনে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে চারদিক।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সারাদিন কুড়িগ্রামের আকাশে সূর্যের দেখা মেলেনি বললেই চলে।
দিনের অধিকাংশ সময় সূর্য মেঘে ঢাকা থাকায় এবং সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত হিমেল বাতাস বইতে থাকায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে যাচ্ছে। শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষি শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষজন।
শীত নিবারণে অসহায় ও দুস্থ মানুষজন খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেক এলাকায় পশুর শীত নিবারণে চটের বস্তা ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে হিমেল বাতাসের প্রভাবে শীতের কবলে পড়েছে জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদীর তীরবর্তী চার শতাধিক চর ও দ্বীপচরের হতদরিদ্র মানুষজন। এসব এলাকার মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের নদীতীরের ওয়াপদা গড়ে আশ্রয় নেয়া আনিছুর রহমান বলেন, খড়কুটোর আগুনেই আমাদের শেষ ভরসা।
বয়বৃদ্ধ রোকেয়া বেগম বলেন, পেটেও ভাত নাই গায়েও কম্বল নাই! কিভাবে যে শীতটা কাটাবো ভেবে পাচ্ছি না। শীতে মরেই যাবো মনে হয়। কেউ যদি একটা কম্বল দিলো তাহলে খুব উপকার হতো।
জেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর প্রবনতা আরো বাড়তে পারে।
’সময়ের কন্ঠস্বরের মাধ্যমে কুড়িগ্রামের শীতার্ত অসহায় মানুষজনের পাশে দাড়াতে চাইলে যোগাযোগ- ০১৭১৩২০০০৯১।
এফএস