কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গত ৬ দিন ধরে ঘন কুয়াশা,আর হিমশীতল হাওয়ায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করছে যানবাহন। ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
এদিকে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬ টায় কুড়িগ্রাম জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর ১২ টা পরেও সূর্যের দেখা নেই এজনপদে। ফলে কৃষি শ্রমিকরা হাঁড় কাঁপানো ঠান্ডায় জীবিকার তাগিদে কাজ করতে দেখা গেছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা জানান, গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে কুয়াশা ঝড়া শুরু হয়। সারারাত গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মত কুয়াশা ঝড়ে। সকালে তো দুরের কথা, সারাদিন সূর্যের মুখ দেখা যায় না। এ অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমুল, খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ জন। শীতের তীব্রতার কারনে কাজে যেতে না পেরে অনেকেরই জীবনযাত্রায় স্থবিরতা নেমে এসেছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, শুক্রবার সকাল ৬টায় জেলা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি আরও জানান, আগামী কয়েক দিন শীত ও কুয়াশার প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে এবং সামনে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
এসআর