ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের পাঁচরুখি বাজারে আদম ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নান্দাইল উপজেলা হাসপাতালে পাঠান।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী লাঠিচার্জ করলে উত্তেজিত জনতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
জানা গেছে, আদম ব্যবসায়ী পাঁচরুখি গ্রামের বাচ্চু মিয়া (৫০)-এর সঙ্গে ভুক্তভোগী প্রবাসীর পরিবারের পক্ষে একই ইউনিয়নের সোহেল ভেন্ডার নামে স্থানীয় এক মাতাব্বরের বিরোধ থেকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। রোববার সকালে সোহেল ভেন্ডারের পক্ষ থেকে বাচ্চুর অপকর্মের প্রতিবাদ জানানো হবে—এমন ঘোষণা মাইকে প্রচার করা হয়। কিছুক্ষণ পর একইভাবে বাচ্চুর পক্ষ থেকেও সোহেল ভেন্ডারকে প্রতিহত করতে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। মুহূর্তের মধ্যে দুই গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্রসহ মারমুখী অবস্থান নেয়।
খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম জানান, জনতার বড় জমায়েত দেখে সেনাবাহিনী আচমকা উপর্যুপরি লাঠিচার্জ করলে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এতে জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় আত্মরক্ষার জন্য সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্য একটি ঘরে আশ্রয় নেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে গাড়িতে তুলে দেন।
এ বিষয়ে বাচ্চু মিয়া জানান, সোহেল ভেন্ডার তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় তার লোকজন নিয়ে বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট চালানো হয়।
সোহেল ভেন্ডার বলেন, ভুক্তভোগী লোকজন তার কাছে বিচার প্রার্থী হয়ে আসে। বাচ্চুকে জিজ্ঞাসা করতে গেলে তিনি তাকে মারধর করে প্রায় দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে লোকজন উত্তেজিত হয়ে বাচ্চুর বাড়িতে হামলা চালায়।
নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আল আমীন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই সময় সেনাবাহিনী সীমিত আকারে লাঠিচার্জ করে। এতে অনেকেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করে এবং একজন বৃদ্ধ আহত হন। এ ঘটনার পর এলাকায় সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এনআই